নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার জোরখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় সরে জমিনে গিয়ে এই চিত্র পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে রামচন্দ্রপুর এলাকার শহীদ প্রামানিক বলেন, আমাদের জোরখালী মৌজার বিআরএস ৭৩০৯ ও ৭৩১০ নং দাগের ১ একর ১১শতাংশ জমি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে নামজারি করে তাতে ফসল ফলিয়ে আসছিলাম। কিন্তু এই জমি এলাকার দুলাল প্রামানিক তার ভাতিজা ইউনিয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিম নেতৃত্ব দল তিনবছর আগে আরওআর মূলে দাবি করে জোর করে দখল করে নেয়, যা এখন পতিত রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে ঘোষনা দিয়েছেন, আবাদি এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবেনা, সেখানে ওই ছাত্রলীগ নেতার দাপটে আমাদের ১ একর ১১ শতাংশ জমি তিন বছর ধরে পতিত রয়েছে। এ ব্যাপারে শহীদ প্রামানিকের সহোদর আলতাফ প্রামানিক বলেন, ঘটনার দিন সম্প্রতি বোর মৌসুমের জন্য ওই জমিতে হালচাষ করতে গেলে রেজাউল নেতৃত্ব দল আমাদের পরিবারের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে শহীদ প্রামানিকের মাথায় আঘাত লেগে তা ফেটে যায় এবং আমার আরেক ভাইয়ের হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। পরে এই ঘটনায় মাদারগঞ্জ থানায় রেজাউল করিম নেতৃত্বদের নামে ৩২৬ ধারায় মামলা রুজু হয়। পরে তারা সেই মামলা হাজত খেটে জামিনে এসে আমাদের খুন করে ফেলার হুমকী দিয়ে আসছে, এ ব্যাপারে মাদারগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জোরখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিম জমি দখলের কথা স্বীকার করে বলেন,আরওআর মূলে এই জমি আমাদের। তারা বেআইনীভাবে এই জমি দখলে রেখেছিল এতো দিন। এ ব্যাপারে জোরখালী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাজ্জাদুল করিম বলেন, নালিশীয় ওই জমির প্রকৃত মালিক বিআরএস সূত্রে শহীদ প্রামানিকরা,অযথা দুলাল প্রমানিকরা আরও আর মূলে তা দাবি করে ঝামেলা সৃষ্টি করে রাখছে । তারা এলাকার কোন শালিস বৈঠকও মানছেনা। মানছেনা কোন আইন কানুন।
এ ঘটনায় মাদারগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, গেল ৮ ফেব্রুয়ারী মাসেও এই বিষয় নিয়ে থানায় মিমাংসের জন্য বসা হয়েছিল কিন্তু কোন সুরাহা দেয়া যায়নি তাদের।