স্টাফ রিপোর্টার: জামালপুরের মাদারগঞ্জ পৌরসভার চর গাবেরগ্রামের বাসিন্দা মো. মোখলেছ। পিতা মৃত মুনছুর প্রামাণিক। পেশায় রাজমিস্ত্রী।
করোনার টিকা নিতে চান বেঁচে থেকেও কাগজ-কলমে মৃত মোখলেছ। কিন্তু নিবন্ধনে বাঁধ বেঁধেছে কম্পিউটার সিস্টেমিক সার্ভার। কারণ মৃত মানুষের যে টিকা দেবার নিয়ম নেই!
লোকটি দিব্যি বেঁচে থেকে সমাজ-সংসার করলেও জাতীয় পরিচয়পত্রের নথিতে মারা গেছেন ৫ বছর আগে। তাই সার্ভার থেকে মুছে ফেলা হয়েছে তার ভোটার আইডির তথ্য। ফলে তিনি সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, ব্যাংকঋণ, করোনার টিকাসহ অন্যসব নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখন নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে হচ্ছে মোখলেছকে।
এই সমস্যার কারণ হিসেবে নির্বাচন কর্মকর্তা বলছেন, ২০১৭ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সময় এমন ভুল হতে পারে।
জানা গেছে, মোখলেছের জন্ম ২ মার্চ ১৯৮২ সালে। তাঁর এনআইডি নম্বর ৩৯২৫৮০১৩১৭৮০২।
মোখলেছ বলেন, আমার কাছে যে ভোটার আইডি কার্ড আছে সেটা দিয়ে করোনার টিকা নিবন্ধনের চেষ্টা করি। বারবার চেষ্টা করেও আমার নাম-পরিচয় শনাক্ত হয় নাই। পরে নির্বাচন অফিসে গিয়ে জানতে পারি, ভোটার তালিকা থেকে আমার নাম কাটা হয়েছে। আমি নাকি ৫ বছর আগেই মারা গেছি। এখন মৃত থেকে আবার জীবিত হতে নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জামান হোসেন চৌধুরী জানান, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। তাকে নতুন করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।
