শেরপুর টুডে ডেস্কঃ প্রাচীনকালে কামরুপ রাজ্যের দশকাহনিয়া পরগনার নদীবিধৌত দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল মুনশীরচর। একসময় শেরপুর থেকে জামালপুর হয়ে ময়মনসিংহের মাঝে প্রায় পুরোটাই নদী ছিলো। নাম ছিলো লৌহিত্য ধারা। ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পে ব্রহ্মপুত্রের তলদেশ উঁচু হয়ে গতি পরিবর্তনের মাধ্যমে লৌহিত্য ধারা ও ব্রহ্মপুত্র সংকুচিত হয়ে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নাম ধারণ করে এবং দেওয়ানগঞ্জ থেকে সোজাসুজি যমুনা নদীর সৃস্টি হয়। তাই বলা হয় লৌহিত্যধারা ব্রহ্মপুত্রের আদি নাম। কালের বিবর্তনে নদী সংকুচিত হয়ে প্রচুর চর পড়ে এবং এসব চরে কৃষিজীবিসহ নানা পেশার মানুষ বসতি স্থাপন শুরু করে। কামারেরচর,মুচারেরচর,বাবনার চর,ডুবারচর, পয়াস্তির চর,ডিগ্রির চর,ইত্যাদি চর এসবেরই অংশ । জনবসতি কম থাকায় কিছুকিছু এলাকা প্রচুর জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে যায়। কিছু এলাকার নামকরণ দেখলেই বোঝা যায় এসব এলাকা ঘন জঙ্লাকীর্ণ ছিলো।যেমন জঙ্গলদি,বাঘলদি, হরিণধরা, পক্ষিমারী,বাঘেরচর ইত্যাদি। এই বাঘেরচরই কালের পরিক্রমায় একসময় মুনশীরচর নাম ধারণ করে। উল্লেখ্য এ গ্রামে বেশ ক’ জন মুনশী ছিলেন। এর মধ্যে তিনঘরি পাড়ার বিগারু মুনশী অন্যতম। এ অঞ্চলের মানুষ মূলত কৃষিজীবি শ্রেণির। লেখাপড়ার তেমন সুযোগ সে সময় ছিলোনা।
মোঘল আমলে ভারতবর্ষে মক্তব মাদ্রাসা শুরু হলেও এসব চরাঞ্চলে তখনও তেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। দেশে কিছু কিছু ধর্মীয় বা শ্রেণিভিত্তিক গুরুমুখী পন্ডিতশ্রেণির শিক্ষক দ্বারা শিক্ষাব্যবস্থা চালু থাকলেও তা ছিল অনানুষ্ঠানিক।
১৭৫৭ সালে ব্রিটিশ শাসনামল শুরুর পর প্রায় ৫০ বছর বৃটিশরা বাংলায় শিক্ষাব্যবস্থার তেমন কিছুই করেনি। ভারতবর্ষে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির কাজে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষকরে খাজনা আদায় ও কেরানিগীরি কাজের জন্য এদেশে শিক্ষিতশ্রেণির প্রয়োজন হলে ১৮৩০ সালের শিক্ষা সনদ, ১৮২৩ সালের সাধারণ শিক্ষা কমিশন,১৮৩৫ সালের আ্যাডাম কমিশন রিপোর্ট এবং ১৮৪৩ সালের লর্ড মেকলের নিম্ন পরিস্রবণ নীতির সুপারিশের পথ ধরে এদেশে আধুনিক শিক্ষা বিস্তার শুরু হয়। আরো পরে ব্যাপক জরিপের ভিত্তিতে উডের ডেসপ্যাচের আলোকে শ্রেণিকক্ষভিত্তিক যুগোপযোগীশিক্ষার লক্ষ্যে কিছু ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় তৈরি শুরু হয়। ১৮৮২ সালে হান্টার কমিশনের সুপারিশ অনুসারে ভারতবর্ষে শ্রেণিশিক্ষা বিকেন্দ্রীকরণ ও উন্নত করার পরামর্শ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় এদেশের গ্রামেগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠা শুরু করে এবং অত্র এলাকার পয়াস্থির চরে ১৯১৩ সালে ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের আওতাধীন একটি ফ্রি প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষার প্রতি মানুষের অনাগ্রহ, হালকা বসতি ও মাঝখানে নদী থাকায় স্কুলটিতে একসময় শিক্ষার্থী সংকট দেখা দেয়। ১৯৩০থেকে ১৯৪০ সালের দিকে উক্ত স্কুলটি মুনশীরচরের দক্ষিণপাড়ায় স্থানান্তরিত হয় তবে স্কুলের নাম পয়াস্থিরচর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলই রয়ে যায় । কয়েক গ্রামের শিশুরা এখানেই লেখাপড়া করতে থাকে এবং এটিই ছিলো অত্র এলাকার একমাত্র প্রথমিক বিদ্যালয়।
চর পয়াস্থির (পয়াস্থির চর) স্কুলটি দক্ষিনাপাড়ায় স্থানান্তর করার আরেকটি কারণ চর পয়াস্থি ছিলো নিচু এলাকা। বন্যা সহ সারা বছর জলাবদ্ধতার কারণে ছাত্র সংকট। দক্ষিণ পাড়ার আসল নাম টানকাছার। মুনশীরচরের এ স্থানটি অত্র এলাকার মধ্যে সবচেয়ে উচু বা টান ছিলো বলেই টানকাছার নামকরণ ।
ভূমিকম্পে ব্রহ্মপুত্র নদীপথ পরিবর্তন করে আরেকটি শাখা দেওয়ানগঞ্জ থেকে দক্ষিন দিকে যমুনা নদী সৃষ্টির কথা আগেই বলেছি। সে সময় টাংগাইলের ভুঁঞাপুর, কাগমারি ইত্যাদি এলাকা নতুন নদী যমুনার ভাঙনে পড়ে। কাগমারি থেকে উক্ত নদীভাঙা কিছু পরিবার নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে টানকাছারে এসে বসতি স্থাপন করে। যেহেতু কাগমারি শেরপুর ও জামালপুরের দক্ষিনে অবস্থিত তাই উক্ত বসতি স্থাপনকারীদের দক্ষিনা (স্থানীয় ভাষায় ‘দহিনা) বলা হতো এবং পাড়ার নাম হয়ে যায় দহিনা পাড়া। এখানের কিছু পরিবারের ভাষাগত আঞ্চলিক টান এখনো টাঙ্গাইল এলাকার মতো দৃশ্যমান। এখানে জনবসতি অপেক্ষাকৃত বেশী হওয়ায় ও স্থানটি উঁচু হওয়ার কারণে চরপয়াস্থি স্কুলটির স্থানান্তর। স্থানান্তরের সঠিক সন এখনো জানা সম্ভব হয়নি তবে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত এখানেই গুরুমূখি শিক্ষক জনাব সৈয়দ আলী ও জনাব হোসেন আলী শিক্ষাদান করাতে থাকেন। এখানেও স্কুলটি ভালোভাবে চলছিলো না। রাস্তাঘাট না থাকায় দূরের ছাত্র ও অবিভাবকদের অনাগ্রহে স্কুলটিতে ছাত্রসংখ্যা কমতে থাকে।
উত্তর পাড়ার অধিবাসী জনাব ইদ্রিস আলী ছিলেন শেরপুরের খাদ্য বিভাগের সাব ইন্সপেক্টর। শিক্ষানুরাগী এই ব্যক্তি নিজ এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে উদ্যোগী হন। নোয়াখালীর অধিবাসী মৌলানা আবুল আল্লাম থাকতেন বকশিগঞ্জে। ইদ্রিস আলী সাহেব সেখানথেকে তাকে ডেকে এনে ১৯৫২ সনের জানুয়ারি মাসে কামার পাড়ার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব জনাব হাফেজ সরকারের বাড়ির একটি ছোট্ট ছনের ঘরে মক্তব চালুর ব্যবস্থা করেন। উত্তরপাড়ার জনাব আব্দুল মান্নান ১৯৫০ সনে মেট্রিক পাশের পর গ্রামেই অবস্থান করছিলেন। অপরদিকে মোল্লাপাড়ার জনাব সিরাজ উদ্দিন শেরপুরের পাঁচগাও এ একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন।জনাব আবদুল মান্নান, জনাব সিরাজ উদ্দিন কে সঙ্গে নিয়ে ১৯৫২ সনে উক্ত মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি ছনের ঘরে প্রাথমিক বিদ্যালয় শুরু করেন। পরে মোল্লাপাড়ার জনাব মোয়াজ্জেম হোসেনকেও সংযুক্ত করে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা দুই প্রতিষ্ঠানেই ক্লাস নিতে থাকেন। সে বছরই শিক্ষাউপযুক্ত পরিবেশের অপর্যাপ্ততার কারণে মক্তব সহ স্কুলটি শিক্ষানুরাগী জনাব জবেদ আলী সরকারের বাড়িতে স্থানান্তরিত হয় এবং প্রাইমারি স্কুলে জঙ্গলদির জনাব নওয়াব আলী মাস্টার যুক্ত হন।
কামারপাড়া মাদ্রাসাটি সুন্দরভাবে চললেও কিছুদিন পর মক্তবটি আর চালু রাখা সম্ভব হয়নি, কারণ নোয়াখালীর মৌলানা আবু আল্লাম নিজ জেলা নোয়াখালী ফিরে যান। এদিকে প্রাইমারি স্কুলটি ভালোভাবেই চলতে থাকায় দক্ষিণপাড়ায় অবস্থিত চরপয়াস্থি ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের অধিকাংশ ছাত্র কামারপাড়ার উক্ত প্রাইমারি স্কুলে চলে আসতে থাকে এমনকি জঙ্গলদি, হরিনধরা, চরমোচারিয়াসহ অনেক গ্রামের শিক্ষার্থীরা এ স্কুলে আসতে থাকে। স্কুলের অবস্থা ভালো দেখে কামারপাড়ার দানশীল ব্যক্তি জনাব সৈয়দ আলী সরকার ১৯৫৫ সনের ২৯ জানুয়ারি স্কুলের জন্য ৫০ শতাংশ জমি দান করেন।
মহলদার বাড়ির জনাব জহুরুল ইসলাম পচা’র এক আত্নীয় ছিলেন স্পেশাল অফিসার ফর প্রাইমারি এডুকেশন, ঢাকায় কর্মরত। তিনি ছিলেন মুনশীরচরের বিশিষ্ট ব্যক্তি জনাব ওয়াজেদ আলী সরকার ( খোরশেদুজ্জামান চেয়ারম্যানের দাদা) এর বন্ধু। তিনি আবদুল মান্নান, সিরাজ উদ্দিন ও মোয়াজ্জেম হোসেনকে তার বন্ধুর ঢাকার অফিসে পাঠান দক্ষিনপাড়ায় অবস্থিত চরপয়াস্থি ফ্রি প্রাইমারি স্কুলকে মুনশীরচর স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করার জন্য। ঢাকায় কাগজপত্র জমা দিয়ে আসার পর সে সূত্র ধরে শেরপুরের থানা শিক্ষা অফিসার, জামালপুর মহকুমা শিক্ষা অফিসার কর্তৃপক্ষ দক্ষিণপাড়ার উক্ত স্কুল পরিদর্শনে আসেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র উপস্থিতি না পাওয়ায় ১৯৫৩ সনে স্কুলটি মুনশীরচরের স্কুলটির সাথে সংযুক্ত করে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেন তবে স্কুল পয়াস্থির চর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের নামেই রয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক এবং সেকেন্ড টিচারও পয়াস্থিরচর প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক যথাক্রমে সৈয়দ আলী মাস্টার ও হুসেন আলী মাস্টারই বহাল থাকেন। আবদুল মান্নান মাস্টার, সিরাজ উদ্দিন মাস্টার, মোয়াজ্জেম হোসেন মাস্টার সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
স্কুলটি ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের হওয়ায় সে সময়ের ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাঝপাড়ার জনাব আব্দুল ওয়াহেদ চেয়ারম্যান স্কুলের সভাপতি ও ইউনিয়ন বোর্ডের সচিব মুকসুদপুরের জনাব আজগর আলী সম্পাদকের (উভয়েই পদাধিকার বলে) দায়িত্ব পালন করেন।
ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের অধীনে প্রতিবছর একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টিত হতে থাকে।শেরপুরের থানা শিক্ষা অফিসার জনাব হেলাল আহমেদ একদিন জনাব আবদুল মান্নান মাস্টারকে পরামর্শ দেন “যদি শিক্ষকতা পেশাতেই থাকতে চান তবে পিটিআই ট্রেনিং করুন”। পরামর্শ মতো জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন মাস্টারকে ১৯৫৪ সনে ভার্নাকুলার (পন্ডিত) ট্রেনিং এ পাঠান এবং ১৯৫৫ সালে আবদুল মান্নান মাস্টার টাঙ্গাইলে পিটিআই ট্রেনিং এ চলে যান। দুজন শিক্ষক ট্রেনিংএ থাকায় গফরগাঁও থেকে একজন শিক্ষক এখানে নিয়োগ পান। জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন ট্রেনিং থেকে ফিরে এলে তাঁকে শেরপুর ভাতশালা প্রাইমারি স্কুলে পদায়ন করা হয়। তাঁর স্থলে সরিষাবাড়ি থেকে জনাব আঃ জব্বার নামের একজন শিক্ষক যোগদান করেন।জনাব আবদুল মান্নান মাস্টার পিটিআই পাশ করে ফিরে এলে তাঁকে নালিতাবাড়ী রাজনগর প্রাইমারি স্কুলে যোগদান করতে বলায় তিনি রাজি না হওয়ায় জনাব জবেদ আলী সরকারের অনুরোধে শেরপুরের থানা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জেলা শিক্ষা অফিসার ময়মনসিংহ ১৯৫৯ সনে গফরগাঁও এর থানা শিক্ষা অফিসারের সহায়তায় গফরগাঁয়ের উক্ত শিক্ষককে বদলি করে নিয়ে জনাব আবদুল মান্নান মাস্টার কে ৪র্থ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।
শেরপুরের থানা শিক্ষা অফিসার ১৯৬০ সনে জনাব আব্দুল মান্নান মাস্টারকে রিফ্রেশার্স কোর্সে পাঠান, কারণ তিনি ছিলেন মেট্রিক পাশ,পক্ষান্তরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক দুজনই ছিলেন নন মেট্রিক অর্থাৎ গুরু ট্রেনিং (জি.টি.)। রিফ্রেশার্স কোর্স শেষে শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে থাকার কারণে জনাব আবদুল মান্নান মাস্টার ১৯৬০ সনে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে স্কুলের নামকরণও মুনশীরচর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে রুপান্তরিত হয় ৷ ইতোমধ্যে জনাব সিরাজ উদ্দিন মাস্টার ১৯৬৩ সনে ময়মনসিংহ থেকে পিটিআই সম্পন্ন করে ফিরে এলে তাঁকে পদোন্নতি দিয়ে শেরপুর থানাধীন অন্য একটি স্কুলে পদায়ন করা হয় এবং সরিষাবাড়ি থেকে জনাব আঃ জব্বার নামের একজন শিক্ষক যোগদান করেন । কিছুদিন পরে জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন মাস্টার ও জনাব সিরাজ উদ্দিন মাস্টার পুনরায় ফিরে আসেন এবং জনাব আঃ জব্বার মাস্টার সরিষাবাড়ি ফিরে গেলে চতুর্থ শিক্ষক হিসেবে জনাব সিরাজ উদ্দিন মাস্টারের সহধর্মিণী মিসেস আজিজা খাতুন উক্ত পদে যোগদান করেন। ১৯৬৬ সনে পূর্বপাকিস্তান সরকার কিছু স্কুলে পাকা দালান নির্মানের পরিকল্পনা করে। পাশের গ্রাম চৌধুরীবাড়ির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব জনাব শামসুল গণি চৌধুরী মুনশীরচর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের বরাদ্দ কেটে সদ্য নির্মিত চৌধুরীবাড়ি প্রাইমারি স্কুলে পাকা ভবন নির্মানের চেষ্টা করতে থাকলে শেরপুরের এম এল এম জনাব খন্দকার আবদুল হামিদের মাধ্যমে মুনশীরচরের বরাদ্দ ঠিক রাখা হয়।পরে দুটি স্কুলকেই পাকা করার ব্যবস্থা করেন।
দালানের জন্য স্কুলের পাশে অবস্থিত উদীয়মান ইউথ ক্লাবের ভূমিকা অনন্য। স্কুলঘরের সমস্ত ইট উদীয়মান ক্লাবের সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে নিজেরাই তৈরি করে দেয়। উল্লেখ্য ইতোপূর্বে উদীয়মান ক্লাবটিও স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ইট তৈরি করে নিজেরাই ক্লাবভবন নির্মাণ করেছিলো। দালানটি মাঠের পশ্চিম দিকে পূর্বমূখী করে নির্মান করা হয়েছিলো। একাত্তরপূর্ব পর্যন্ত এতদঅঞ্চলে যে ক’টি বিদ্যালয় ছিল, মুনশীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিলো সেরা। অনেক এলাকার ছাত্র লজিং থেকে এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছে। এভাবেই মুনশীরচর সরকারী প্রাইমারী স্কুলের পাকিস্তান পর্বের পরিসমাপ্তি ঘটে। ( চলবে)
লেখকঃ হাসান মাসুদ
সিনিয়র শিক্ষক( ফাইন আর্টস) ময়মনসিংহ জিলা স্কুল ও আঞ্চলিক উপ কমিশনার (আইসিটি)
বাংলাদেশ স্কাউটস, ময়মনসিংহ অঞ্চল।