শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নের সফল জনতার চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম খান সোহেল মাদারগঞ্জে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু  ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত প্রচারে ব্যস্ত আ.লীগের প্রার্থীরা কৌশলী অবস্থানে বিএনপি মাদারগঞ্জ পৌরসভার নব নির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন মির্জা আজম এমপি  মাদারগঞ্জ ঝাড়কাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ মাদারগঞ্জে শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মেষ্টার চান্দের হাওড়া এলাকার রাস্তা নয়, যেন মরণ ফাঁদ! চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আন্ত:বিভাগ ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল খেলায় ইংরেজি বিভাগ কে ১—০ গোলে হারিয়ে আইন বিভাগ চ্যাম্পিয়ন মাদারগঞ্জে ভূমি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলেন  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইলিশায় রিছিল
করোনার ভারতীয় ধরনে ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা কম: গবেষণা

করোনার ভারতীয় ধরনে ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা কম: গবেষণা

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আতঙ্ক জাগাচ্ছে ভারতীয় ধরন। সবশেষ তথ্যমতে বাংলাদেশে নতুন আক্রান্তদের ৮০ শতাংশই ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত। এ অবস্থায় নতুন এক গবেষণার ফলাফল এ আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসের ভারতীয় বা ডেল্টা ধরনে ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা কম।

ফাইজার–বায়োএনটেকের টিকা নেওয়া ব্যক্তির দেহে করোনা ভাইরাসের মূল ধরনের বিরুদ্ধে যে মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তার তুলনায় ভাইরাসটির ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির মাত্রা পাঁচ ভাগের এক ভাগের কম হয়।

বিশ্বখ্যাত ল্যানসেট সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, টিকা গ্রহণের ফলে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা দেহে করোনা ভাইরাস ঢুকলে ওই ভাইরাসকে শনাক্ত করে নিষ্ক্রিয় করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, টিকাগ্রহীতাদের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফাইজারের টিকা থেকে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির এই কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গেও তার কার্যক্ষমতা কমে যায়। এসব পর্যবেক্ষণ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের সুরক্ষায় বুস্টার ডোজ দেওয়ার পক্ষের যুক্তিকে জোরালো করছে।

গবেষণার এই ফল যুক্তরাজ্যে টিকার দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমিয়ে আনার বর্তমান পরিকল্পনাকে সমর্থন করছে। যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি দেখতে পেয়েছে, ফাইজারের টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে আগে যুক্তরাজ্যের কেন্টে প্রথম দেখা দেওয়া করোনা ভাইরাসের বি. ১.১.৭ (আলফা) ধরনের বিরুদ্ধে যে মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল, ডেল্টা ধরন বি.১.৬১৭.২ (ভারতীয় ধরন) এর বিরুদ্ধে সেই মাত্রায় হচ্ছে না। এর ভিত্তিতে তারা টিকার দুই ডোজ দেওয়ার সময়ের ব্যবধান কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। গবেষকেরা বলছেন, শুধু অ্যান্টিবডির মাত্রাই টিকার কার্যকারিতার প্রমাণ দেয় না। এ বিষয়ে আরও গবেষণা দরকার। করোনা ভাইরাস নিষ্ক্রিয়কারী অ্যান্টিবডির স্বল্প মাত্রাই কোভিড–১৯–এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে।

গবেষণায় ফাইজারের টিকার দুই ডোজ নেওয়া ২৫০ জন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তির রক্তে অ্যান্টিবডির মাত্রা বিশ্লেষণ করা হয়। এই ব্যক্তিদের টিকার দুই ডোজ গ্রহণের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল তিন মাস পর্যন্ত।

গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইজারের দুই ডোজ টিকাগ্রহীতাদের রক্তে নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডির মাত্রা ভাইরাসের মূল ধরনের তুলনায় বি.১.৬১৭.২ ধরনের ক্ষেত্রে পাঁচ ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম। যারা মাত্র এক ডোজ নিয়েছেন, তাদের অ্যান্টিবডি রেসপন্স আরও কম।

ফাইজারের টিকার এক ডোজ নেওয়ার পর ৭৯ শতাংশ মানুষের শরীরে ভাইরাসটির মূল ধরনের বিরুদ্ধে নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি রেসপন্স দেখা যায়। সেখানে বি.১.১.৭ ধরনের বিরুদ্ধে তা নেমে আসে ৫০ শতাংশে, বি.১.৬১৭.২ ধরনের বিরুদ্ধে তা কমে আসে ৩২ শতাংশে এবং বি.১.৩৫১ বা বেটা ভেরিয়েন্টের (দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম দেখা দেয়) ক্ষেত্রে তা নেমে আসে ২৫ শতাংশে।

প্রতিটি ধরনের ক্ষেত্রেই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবডির মাত্রা কম হলেও নারী–পুরুষ বা শরীরের ওজনভেদে কোনো তারতম্য দেখা যায়নি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply




© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY SheraWeb.Com