সোমবার, ০৫ Jun ২০২৩, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম
মানবতার প্রদীপ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে জামালপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কেন্দুয়া কালিবাড়ীতে লাউ গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা কুটামনি মধ্যপাড়া বানু হাজীবাড়ী ঈদগাহ মাঠের নতুন কমিটি গঠিত জামালপুরে কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন চালুর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ  জামালপুর সদরের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেনের প্রচেষ্টায় একটি সড়ক পূরণ করলো লাখো মানুষের স্বপ্ন “এসিআই সীড”  কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে জামালপুর দরিদ্র বর্গাচাষীর ধান কাটলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ জামালপুরে হযরত শাহ জামাল (রঃ)’র স্মরণে ৯দিনব্যাপী ওরশ মোবারক উপলক্ষে সুকরিয়া মিছিল  শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত জামালপুরে কৃষকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ
চরশী মুন্সিপাড়ায় গোরস্থানের জমির নামে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা আবুল হোসেন মাস্টারের

চরশী মুন্সিপাড়ায় গোরস্থানের জমির নামে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা আবুল হোসেন মাস্টারের

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের চরশী মুন্সিপাড়া গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের বড় পুত্র মোঃ আবুল হোসেন মাস্টারের বিরুদ্ধে পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, চরশী গ্রামে মৃত ময়েন উদ্দিন জীবিত থাকা অবস্থায় দুইটি বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেয় আবুল হোসেন মাস্টার। অপরদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেয় মতিউর, নুরুল ইসলাম, মোতালেব, রতন, মালেক সহ ৫ ছেলে। দুটি বিয়ে করার কারনে ময়েন উদ্দিন জীবিত থাকা অবস্থায় সংসারও ভাগ হয়ে যায়। যার কারনে দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলেমেয়েদের নিয়ে আলাদা বাড়ি করে বসবাস করেন ময়েন উদ্দিন। এবং দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য ১৯৮২ সালে একটি দলিলের মাধ্যমে ৫ একর ৩৯ শতাংশ জমি লিখে দেন। এছাড়া প্রথম স্ত্রী’র সন্তান আবুল হোসেন মাস্টারকেও বাড়ি করার জন্য ৬৩ শতাংশ জমিসহ আরোও অনেক ফসলী জমি লিখে দেন। জমি লিখে দেওয়ার পর থেকে নুরুল ইসলাম গংরা ১৬৫৮, ১৬৫৯ দাগের জমি ভোগ দখল করে সেখানে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু খতিয়ান নং- ১১৫৭ এর দাগ নং ১৬৬০ এর মধ্যে যে ১৮ শতাংশ জমি রয়েছে তা নুরুল ইসলামরা না জানার কারনে উক্ত জমি ৩৯ বছর গোপন রেখে ভোগ দখল করে নেয় আবুল হোসেন মাস্টার। পরবর্তীতে নুরুল হোসেন গং সেই জমির খোঁজ পেলে আবুল হোসেন মাস্টারের নিকট জমির ভাগ চান। এতে নানা রকম টালবাহানা শুরু করেন আবুল হোসেন মাস্টার। নিরুপায় হয়ে আবুল হোসেন মাস্টার সেখানে একটি গোরস্থানের সাইনবোর্ড টানিয়ে সেটি গোরস্থানের জমি বলে প্রচার করেন। অথচ এই সকল জমি নিয়ে এর আগে গ্রামে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে সময় আবুল হোসেন মাস্টার শালিস বৈঠক না মেনে নিজের প্রভাব খাটিয়ে পৈত্রিক সম্পদ নিজের বলে দখল করে নেয়। এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় আমাদের ৫ ভাইকে পৃথক পৃথকভাবে প্রতিজনকে বাড়ি করার জন্য ২৬ শতাংশ করে জমি লিখে দিয়ে যান এবং আবুল হোসেন মাস্টারকেও বাড়ি করার জন্য ৬৩ শতাংশ জমি দিয়ে যান। কিন্তু সেই সময় আমরা বাবার রেখে যাওয়া অন্য সম্পদগুলো খোঁজ না নেওয়ার কারনে বাবা মারা যাওয়ার পর বাকী সম্পদ আবুল হোসেন মাস্টার দখল করে নেয়। এ নিয়ে সাংবাদিকদের নিকট গোরস্থানের জমির নামে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন আবুল হোসেন মাষ্টার। এতে করে আমাদের মানহানী করা হয়েছে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে আবুল হোসেন মাস্টারের বক্তবের জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply




© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY SheraWeb.Com