শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২০ অপরাহ্ন

শিরোনাম
১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নের সফল জনতার চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম খান সোহেল মাদারগঞ্জে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু  ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত প্রচারে ব্যস্ত আ.লীগের প্রার্থীরা কৌশলী অবস্থানে বিএনপি মাদারগঞ্জ পৌরসভার নব নির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন মির্জা আজম এমপি  মাদারগঞ্জ ঝাড়কাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ মাদারগঞ্জে শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মেষ্টার চান্দের হাওড়া এলাকার রাস্তা নয়, যেন মরণ ফাঁদ! চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আন্ত:বিভাগ ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল খেলায় ইংরেজি বিভাগ কে ১—০ গোলে হারিয়ে আইন বিভাগ চ্যাম্পিয়ন মাদারগঞ্জে ভূমি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলেন  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইলিশায় রিছিল
ছেলে সন্তান জন্ম হলেই কিছু দিনের মধ্যেই অন্ধ হয়ে যায়

ছেলে সন্তান জন্ম হলেই কিছু দিনের মধ্যেই অন্ধ হয়ে যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
জামালপুরের বকশীগঞ্জে ফুল মামুন-নাছিমা দম্পতির ঘরে ছেলে সন্তান ভালো দৃষ্টি নিয়ে জন্ম নিলেও কিছু দিনের মধ্যে দুচোখ নষ্ট হয়ে যায় তার ব্যাখ্যা আজো কেউ দিতে পারে নি। তবে কন্যা সন্তান হলে চোখের কোনো সমস্যা হয় না। ৮ সদস্যের পরিবারের আপন ৪ ভাই অন্ধ।
জানা যায়, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউপির জানকিপুর দাড়িপুড়া গ্রামের ফুল মামুনের ৮ সদস্যের এক বড় সংসার। তার মাঝে ৪ ছেলে নাজমুল, নয়ন আহমেদ, মোফাজ্জল হক, আজিম উদ্দিন সবাই অন্ধ।
ফুল মামুনের ঘরে ছেলে সন্তান জন্ম নেওয়ার সময় স্বাভাবিক দৃষ্টি নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চোখের সমস্যা বেড়ে যায় ফলে ধীরে ধীরে চোখ নষ্ট হয়ে যায় এইভাবে এখন আপন ৪ ভাই সবাই অন্ধত্ব বরণ করছে। আর্থিক সমস্যার কারণে উন্নতমানের কোনো চিকিৎসা করাতে পারছে না এমন অবস্থায় চরম দুর্ভোগ ও কষ্টে দিন যাচ্ছে তাদের।
ফুল মামুন জানান, আমার ৪টা ছেলে সবাই অন্ধ অটোরিকশা চালিয়ে সামান্য কিছু জায়গা জমি আছে সেগুলোতে আবাদ করে কোনো মতে এই বড় সংসার চালাতে হচ্ছে। ছেলেদের চোখ যদি ভালো থাকতো তাহলে হয়তো আমার এতো কষ্ট থাকতো না। আল্লাহ আমাকে কি জন্য এমন কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছেন জানিনা। ওরা ৪ ভাই অন্ধ। তাদের দুজনের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডও হয়নি বলে জানান তিনি ।
ফুল মামুনের স্ত্রী নাছিমা বেগম বলেন, সুন্দর চোখসহ আমার প্রতিটি ছেলের জন্ম হয়েছে। কিন্তু কেন বা কি কারণে ধীরে ধীরে তাদের চোখ অন্ধ হয়ে গেল অনেক চেষ্টা করেছি অনেকের কাছেও গেছি কিন্তু তেমন কোনো সাহায্য পাইনি। যার ফলে উন্নত চিকিৎসাও করানো সম্ভব হয়নি। তিনি আরো বলেন, নিজের তেমন অর্থ নেই যে ছেলেদের দেশে বা বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করাবো। এখন সরকার যদি সাহায্য করে তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তাহলে আমার অন্ধ ছেলে গুলো দেখতে পারবে ।
ফুল মামুনের বড় ছেলে নাজমুল বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের আছে আকুল আবেদন করছি আমাদের চারজনের মধ্যে যেকোনো একটা ভাইকে যেনো উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন একটা ভাই দেখতে পারলেই বাকি তিন ভাইকে চালাতে পারবে।
নিলক্ষিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার বলেন, এটা এক বিরল ঘটনা ছেলে সন্তান হলেই কিছুদিন পর অন্ধ হয়। আর মেয়ে হলে কোনো সমস্যা থাকেনা তাদের ৪ জনের মধ্যে দুজনের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করা হয়েছে। ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি দুজনের কার্ডও করে দেয়া হবে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান ।
বকশীগঞ্জ ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা বলেন, বিষয়টি খুব বেদনাদায়ক আপন ৪ ভাই সবাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। উপজেলা প্রশাসন থেকে সর্বোচ্চ সাহায্য সহযোগীতা করবে ৪ ভাইয়ের মধ্যে যাদের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড নেই তাদের কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply




© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY SheraWeb.Com