বৃহস্পতিবার, ০৮ Jun ২০২৩, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
মানবতার প্রদীপ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে জামালপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কেন্দুয়া কালিবাড়ীতে লাউ গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা কুটামনি মধ্যপাড়া বানু হাজীবাড়ী ঈদগাহ মাঠের নতুন কমিটি গঠিত জামালপুরে কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন চালুর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ  জামালপুর সদরের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেনের প্রচেষ্টায় একটি সড়ক পূরণ করলো লাখো মানুষের স্বপ্ন “এসিআই সীড”  কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে জামালপুর দরিদ্র বর্গাচাষীর ধান কাটলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ জামালপুরে হযরত শাহ জামাল (রঃ)’র স্মরণে ৯দিনব্যাপী ওরশ মোবারক উপলক্ষে সুকরিয়া মিছিল  শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত জামালপুরে কৃষকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ
ছেলে সন্তান জন্ম হলেই কিছু দিনের মধ্যেই অন্ধ হয়ে যায়

ছেলে সন্তান জন্ম হলেই কিছু দিনের মধ্যেই অন্ধ হয়ে যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
জামালপুরের বকশীগঞ্জে ফুল মামুন-নাছিমা দম্পতির ঘরে ছেলে সন্তান ভালো দৃষ্টি নিয়ে জন্ম নিলেও কিছু দিনের মধ্যে দুচোখ নষ্ট হয়ে যায় তার ব্যাখ্যা আজো কেউ দিতে পারে নি। তবে কন্যা সন্তান হলে চোখের কোনো সমস্যা হয় না। ৮ সদস্যের পরিবারের আপন ৪ ভাই অন্ধ।
জানা যায়, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউপির জানকিপুর দাড়িপুড়া গ্রামের ফুল মামুনের ৮ সদস্যের এক বড় সংসার। তার মাঝে ৪ ছেলে নাজমুল, নয়ন আহমেদ, মোফাজ্জল হক, আজিম উদ্দিন সবাই অন্ধ।
ফুল মামুনের ঘরে ছেলে সন্তান জন্ম নেওয়ার সময় স্বাভাবিক দৃষ্টি নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চোখের সমস্যা বেড়ে যায় ফলে ধীরে ধীরে চোখ নষ্ট হয়ে যায় এইভাবে এখন আপন ৪ ভাই সবাই অন্ধত্ব বরণ করছে। আর্থিক সমস্যার কারণে উন্নতমানের কোনো চিকিৎসা করাতে পারছে না এমন অবস্থায় চরম দুর্ভোগ ও কষ্টে দিন যাচ্ছে তাদের।
ফুল মামুন জানান, আমার ৪টা ছেলে সবাই অন্ধ অটোরিকশা চালিয়ে সামান্য কিছু জায়গা জমি আছে সেগুলোতে আবাদ করে কোনো মতে এই বড় সংসার চালাতে হচ্ছে। ছেলেদের চোখ যদি ভালো থাকতো তাহলে হয়তো আমার এতো কষ্ট থাকতো না। আল্লাহ আমাকে কি জন্য এমন কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছেন জানিনা। ওরা ৪ ভাই অন্ধ। তাদের দুজনের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডও হয়নি বলে জানান তিনি ।
ফুল মামুনের স্ত্রী নাছিমা বেগম বলেন, সুন্দর চোখসহ আমার প্রতিটি ছেলের জন্ম হয়েছে। কিন্তু কেন বা কি কারণে ধীরে ধীরে তাদের চোখ অন্ধ হয়ে গেল অনেক চেষ্টা করেছি অনেকের কাছেও গেছি কিন্তু তেমন কোনো সাহায্য পাইনি। যার ফলে উন্নত চিকিৎসাও করানো সম্ভব হয়নি। তিনি আরো বলেন, নিজের তেমন অর্থ নেই যে ছেলেদের দেশে বা বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করাবো। এখন সরকার যদি সাহায্য করে তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তাহলে আমার অন্ধ ছেলে গুলো দেখতে পারবে ।
ফুল মামুনের বড় ছেলে নাজমুল বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের আছে আকুল আবেদন করছি আমাদের চারজনের মধ্যে যেকোনো একটা ভাইকে যেনো উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন একটা ভাই দেখতে পারলেই বাকি তিন ভাইকে চালাতে পারবে।
নিলক্ষিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার বলেন, এটা এক বিরল ঘটনা ছেলে সন্তান হলেই কিছুদিন পর অন্ধ হয়। আর মেয়ে হলে কোনো সমস্যা থাকেনা তাদের ৪ জনের মধ্যে দুজনের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করা হয়েছে। ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি দুজনের কার্ডও করে দেয়া হবে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান ।
বকশীগঞ্জ ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা বলেন, বিষয়টি খুব বেদনাদায়ক আপন ৪ ভাই সবাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। উপজেলা প্রশাসন থেকে সর্বোচ্চ সাহায্য সহযোগীতা করবে ৪ ভাইয়ের মধ্যে যাদের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড নেই তাদের কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply




© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY SheraWeb.Com