বৃহস্পতিবার, ০৮ Jun ২০২৩, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
মানবতার প্রদীপ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে জামালপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কেন্দুয়া কালিবাড়ীতে লাউ গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা কুটামনি মধ্যপাড়া বানু হাজীবাড়ী ঈদগাহ মাঠের নতুন কমিটি গঠিত জামালপুরে কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন চালুর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ  জামালপুর সদরের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেনের প্রচেষ্টায় একটি সড়ক পূরণ করলো লাখো মানুষের স্বপ্ন “এসিআই সীড”  কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে জামালপুর দরিদ্র বর্গাচাষীর ধান কাটলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ জামালপুরে হযরত শাহ জামাল (রঃ)’র স্মরণে ৯দিনব্যাপী ওরশ মোবারক উপলক্ষে সুকরিয়া মিছিল  শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত জামালপুরে কৃষকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ
জামালপুরের আমজাদ হোটেলে প্রতি বেলায় সাবাড় দুই গরু

জামালপুরের আমজাদ হোটেলে প্রতি বেলায় সাবাড় দুই গরু

মোঃ সাইদুর রহমান সাদী ।।
রান্না একটা শিল্প। এর মাধ্যমেও যে লাখ লাখ মানুষের মন জয় করা সম্ভব, আমজাদ হোসেন তা বেশ ভালো করেই জানেন। ডাল-ভাত দিয়ে মানুষের মন জয় শুরু, এখন তার হোটেলের হাঁড়িতে প্রতি বেলার জন্য রাখতে হয় কমপক্ষে দুটি আস্ত গরুর মাংস। তাতেও যেন খাবারের জন্য কাড়াকাড়ি। টাকা খরচ করে কাড়াকাড়ি করে খেতে আসা, এই সময়ে সত্যিই বিরল ঘটনা!
জামালপুর শহরের ফৌজদারী মোড়ের ‘হোটেল আমজাদ’ সবারই চেনা। কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার জন্য পুরো শহরের মানুষ তো বটেই, আশেপাশের জেলা থেকেও ছুটে আসেন অনেকে। খাবারের মান ও স্বাদ স্বকীয় হওয়ায় দেশের নানা প্রান্তের ভোজনরসিকদের কাছে এর সু-খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে।
শুরুটা হয় ২০০৭ সালে। ডিসি অফিসের আশপাশের সক জায়গায় দখল মুক্ত করতে অভিযান চালালে হোটেল আমজাদও ভাঙা পড়ে। এরপর সমবায় ব্যাংকের জায়গা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে হোটেল আমজাদ। সেখানে প্রতিদিন প্রতিবেলায় চিত্র বদলায়। তিবে হুড়োহুড়ি আর হাঁকডাক থামে না!
আমজাদ হোসেন জানান, প্রথমে ভাত-মাছ, ডিম, সবজি, ডাল, ছোট মাছ বিক্রি থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে গরুর গোশতের চাহিদা। আমার হোটেলে প্রতিদিন দুইটি গরুর গোশত রান্না হয়। কখনও কখনও চাহিদা বেশি থাকে, সেদিন হাফ বা আরও একটি গরু বেশি রান্না করা হয়।
সকালে হোটেলে খুব একটা ভিড় না থাকলেও দুপুরের চিত্র পুরো পাল্টে যায়। সূর্য যতই তেজ বাড়ায়, হোটেল আমজাদেও বাড়ে হাঁকডাক! বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিতদের পাশাপাশি বাড়তে থাকে ভোজন রসিকদের ভিড়। ভেতরে বড় জায়গাজুড়ে সারি সারি চেয়ার টেবিল সাজানো। বাইরে থেকে খুব একটা বোঝার উপায় নেই যে এখানে এতো লোকসমাগম।
হোটেলের কর্মরতদের চোখ ফেরানোর সময় কম। ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতেই তার মালিককে দেখিয়ে বলেন যা বলার তাকে বলুন। হোটেলে মালিক আমজাদ হোসেন বলেন, কোনো কথা বলা বা ছবি তোলা যাবে না। সবাই এখানে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জামালপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক শেলু আকন্দ বলেন, ‘আমি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দলিল লেখকের কাজ করছি। আমার এখানকার বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতা আমজাদ হোটেলে দুপুরে খাবার খায়।’ জামালপুর জজকোর্টের আইনজীবী সহকারি খোকন মিয়া জানান, কোর্টে যাওয়ার আগে তিনি আমজাদ হোটেলে খেতে আসেন।
আমজাদ হোটেলটি সপ্তাহের রোববার থেকে বৃহস্পতিবার খোলা থাকে। সরকারি অফিস নির্ভর হওয়ার কারণে শুক্র ও শনিবার বন্ধ পান এখানকার কর্মচারিরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply




© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY SheraWeb.Com