বৃহস্পতিবার, ০৮ Jun ২০২৩, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরের ইসলামপুর নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল স্রোতে ব্রহ্মপুত্র ও দশআনী নদের বিভিন্ন স্পটে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার সহ বহু গুরুত্বপুূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে।
গত কয়েকদিনে ব্রহ্মপুত্র অব্যাহত ভাঙ্গনে উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের ৪নং চর এবং চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকায় মসজিদ, শত শত বসতভিটা হাজারও একর ফসলী জমি নদের গর্ভে চলে গেছে। বর্ষা মৌসুম শুরুতেই পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদ-নদীর তীরবর্তী মানুষ ভাঙনে দিশে হারা হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও দশআনী নদীর করাল গ্রাসে ইতোমধ্যে বিলীন হতে চলেছে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর, চরপুটিমারী ইউনিয়নের ৪নং চর এবং চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রাম।
নদী ভাঙনের শিকার চন্দনপুর উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মুক্তার আলী, ছফের আলী, বাবুল মিয়া জানান, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও নদের প্রবল ভাঙনে আমাদের বসতভিটা, ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। ৪নং চরের, এনামুল হক, সৈয়দ জামান, আলম মিয়া, আকবর হোসেন, নাজমা বেগমসহ লক্ষিপুর এলাকার ফজলু, বাদশা, ঠান্ডু মিয়া, ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রেজাসহ অনেকেই জানান, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। বহুলোকের ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি নদের গর্ভে চলে গেছে, এখন কোথাও গিয়ে দাঁড়াবার ঠাই নেই তাদের। ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসীর দাবী, জুরুরী ভিত্তিতে প্রশাসন ৪নং চরের নদের ভাঙ্গনরোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ভাঙ্গনের হুমকি’র প্রহর গুনছে লক্ষীপুর ও ৪নং চরে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে সদ্য নির্মিত সরকারি প্রাথকি বিদ্যালয়, হাইস্কুল ও বাজার,ফসলীজমিমাঠ সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম. জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ইতোমধ্যে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙ্গন কবলিত মানুষের তালিকা প্রস্তুত ও ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.