মোঃ আব্দুর রহমান রাফে ॥
জামালপুরের সাতটি উপজেলায় এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু নদী নালা, খালবিল ডুবায় পানির অভাবে পাট কেটে পানিতে পঁচানো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জামালপুরের পাট চাষীরা।
জানা যায়, জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ, বকসিগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি ও জামালপুর সদর এই ৭টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নে এবার প্রচুর পরিমাণ পাট উৎপন্ন হয়েছে। এবার পাট চাষের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং আগাম বন্যা না হওয়ায় পাটের ভালো ফলন আশা করছেন এ অঞ্চলের পাট চাষীরা। তবে এবার বন্যা ও বৃষ্টির পানির পর্যাপ্ত পরিমাণ না থাকায় পাট জাগ (পাট পঁচানো) যাচ্ছে না। তাই চরম বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের পাট চাষীরা।
জানাযায়, প্রতি বৎসর শ্রাবন মাসের শেষার্ধে সকাল থেকেই পাট কাটা, জাগ দেয়া আর পাট শুকানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন পাট চাষীরা। কারণ আবাদি পাটের জমি গুলোতে ভাদ্র মাসের মধ্যে আবার রোপা-আমন চাড়া রোপন করে থাকেন কৃষকরা। কিন্তু এবার চরাঞ্চল ব্যতিত পানির অভাবে পাট কেটে পানিতে পঁচানো এমনকি রোপা-আমন চাড়া রোপন করা কোনটি করতে পারচ্ছেন না কৃষকরা। তাই হতাশার প্রহর গুনছেন এলাকার কৃষক।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাট চাষী আবুল হাসেম, সোনা মিয়া, সদর উপজেলার লক্ষিপুরের কৃষক কাশেম আলী জানান, পাট চাষের জন্য এবার অনুকূল পরিবেশ ছিল। আগাম বন্যা না হওয়ায় পাটের কোন ক্ষতি হয়নি, তাই পাটের ফলন খুবই ভাল হবে। কিন্তু পানির অভাবে পাট কাটা যাচ্ছে না। তাই তারা বিপাকে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চন্দ সাহা জানান, এবার কৃষি অফিস থেকে চাষীদের ভাল মানের উন্নত বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। উন্নত বীজ ও সার সঠিক সময়ে প্রয়োগ করাসহ অবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার পাটের খুবই বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ করছেন। তবে পানির অভাবে পাট কাটা ও পঁচানো যাচ্ছে না বলে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।