ঢাকা March 28, 2024, 9:42 pm
  1. Arts & EntertainmentCelebrities
  2. blog
  3. অন্যান্য
  4. অপরাধ
  5. আইন – আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আবহাওয়া
  8. উপ-সম্পাদকীয়
  9. কবিতা
  10. কৃষি
  11. কৃষি ও কৃষক
  12. কৌতুক
  13. খেলা ধূলা
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জৈব সার তৈরি করার বিভিন্ন পদ্ধতি

Admin
November 12, 2021 8:39 am | 355 Views
Link Copied!

সরিষার খৈল দিয়ে জৈব সার উৎপাদনঃ সাধারনত বাড়ির ছাদে বাগানের জন্য ঝামেলামুক্ত ভাবে এই সার উৎপাদন করা যায়।

প্রথমে, গাছ অনুযায়ী প্রয়োজন মত মাটি সংগ্রহ করতে হবে, মাটি গুলো যেন একবারে ভেজা কিংবা পুরোপুরি শুকনো না হয়। তারপর মাটি গুলোকে ভালো ভাবে গুড়া করে ঝরঝরা করে নিতে হবে। এবপর সম পরিমাণ সরিষার খৈল গুড়া করে মাটির সাথে ভালোভাবে মেশাতে হবে। এরপর নিয়ম করে ৭দিন রোদে দিতে হবে। সাতদিন পর তা ব্যবহার করতে পারবেন।

ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি করার পদ্ধতিঃ
গোবর সংগ্রহ করে কিছুদিন ছায়ায় রেখে দিতে হবে, এরপর গোবরের গ্যাস চলে গেলে তার সাথে অর্ধ পচা কলাগাছের ছোট ছোট টুকরা এবং অর্ধ পচা কচুরি পানা মেশাতে হবে। তারপর কোন একটা পাত্রে (মাটির পাত্র হলে ভলো হয়) ত্রিশ কেজি পরিমাণ গোবরের মিক্সের সাথে আধা কেজি পরিমাণ বার্মি কেঁচো দিয়ে রেখে দিতে হবে। অতিরিক্ত গরমের মধ্যে পাত্রটি রাখা যাবেনা। এবং বৃষ্টির পানি যাতে না জমে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
ত্রিশ দিনে পাত্রের গোবর সহ অন্যান্য যে খাবার গুলো আছে কঁচোগুলো তা খেয়ে শেষ করবে।
এবং চুড়ান্ত ভাবে তা চালনি বা মেশিন দ্বারা চেলে নিয়ে সার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।

গৃহস্থের বাড়িতে জৈব সার তৈরিঃ
শাক-সবজির ফেলে দেয়া অংশ, হাঁস-মুরগীর বিষ্ঠা, খরকুটো ইত্যাদির সবই গৃহস্থের বাড়িতে পাওয়া যায়।
তাই রাসায়নিক সারের পেছনে অর্থ না ব্যয় করে এগুলো দিয়েই তৈরি করা যায় জৈব সার এতে করে মাটি ও পরিবেশ ভালো থাকবে সাথে মাটির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি কৃষক ও কৃষি দু’ই লাভবান হবে।

শাক-সবজির ফেলে দেয়া অংশ, ফলমুলের খোসা, লতাপাতা, হাস-মুরগীর বিষ্ঠা, পশুপাখির নাড়িভুড়ি, কচুরিপানা খরকুটা ইত্যাদি যত্রতত্র ফেলে না দিয়ে বাড়ির এক কোনে মাটির উপরে একত্রে কিছু দিয়ে ঢেকে রেথে দিতে হবে(যেখানে কেঁচো আছে মনে হয়)।
রেখে দেয়া উচ্ছিষ্ট গুলো কেঁচো খেয়ে সেখানে জৈব সার তৈরি করবে। এবং তা ব্যবহারে ভালো ফল আসবে আশা করা যায়।

ট্রাইকো কম্পোস্ট তৈরি করার পদ্ধতিঃ
ছায়াযুক্ত স্থানে তিন ফুট চওড়া এবং দেড় ফুট গবীর গর্ত করতে হবে অথবা সম পরিমান কোন পাত্র/ট্রে নিতে হবে।
পচনশীল দ্রব্য গর্ত/পাত্র/ট্রে’তে ফেলার এক দিন পূর্বে তা পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
পচনশীল দ্রব্য গর্ত/পাত্র/ট্রে’তে ফেলার পর ট্রাইকোডার্মা মেশানো পানি স্প্রে করতে হবে (পল্লী উন্নয়ন একডেমী গুলোতে ট্রাইকোডার্মা পাওয়া যায়, ট্রাইকোডার্মা ল্যাবে বিভিন্ন ধাপে তৈরী করে ফ্রিজে সংরক্ষন করতে হয় তাই কৃষক ভাইরা আগে সব ব্যবস্থা করে তারপর ট্রাইকোডার্মা এনে প্রয়োগ করতে হবে। এক লিটার ট্রাইকোডার্মার সাথে দশ লিটার পানি মেশাতে হবে)
এরপর গর্তে ভেতর যেন পানি না প্রবেশ করে সেজন্য গর্তের চার পাশের মাটি সামান্য উচুঁ করে দিতে হবে এবং কলাপাতা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
রোদ বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষার জন্য গর্তের উপর চাউনি দিতে হবে।
এক সপ্তাহ পরপর আবর্জনা উলট পালট করে দিতে হবে।
৫-৬ সপ্তাহ পর চা পাতার মত ঝরঝরে ও গন্ধহীন ট্রাইকো কম্পোস্ট তৈরী হয়ে যাবে।

জৈব সার ব্যবহারে উপকারিতা সমূহঃ

ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
জৈব সার ব্যবহার করলে জমিতে অন্য কোনো সার প্রয়োগ করা লাগে না।
মাটির পানি ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, এতে করে পানি সেচেঁর প্রয়োজন কম পড়ে এবং অর্থ কম ব্যয় হয়।
রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে হারিয়ে ফেলা মাটির জীবনি শক্তি ফিরিয়ে আনে জৈব সার।
ফসলের গুনাগুন বাড়ে।
তুলনামূলক বড় এবং উৎকৃষ্ট ফল ও সবজি পাওয়া যায়।
জৈব সারের সাহাজ্যে লবনাক্ত জমিতেও চাষাবাদ সম্ভব।
এতে করে পোঁকা মাকড়ের উপদ্রব কম হয়।
জৈব সার ব্যবহারে বাগানে কম আগাছা জম্মে।
বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
সর্বোপরি কৃষি এবং কৃষকরা লাভবান হয়।