আব্দুল্লাহ আল-আমিন, নকলা প্রতিনিধি: ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে ধান চাষে লাভ বেশি হওয়ায়শের পুরের নকলা উপজেলার অনেক কৃষক এই পদ্ধতিতে ধান চাষে ঝুঁকছেন।
এই পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি না করে সরাসরি খেতে ধান বপনের মাধ্যমে চাষাবাদ হয়ে থাকে ফলে সময়, খরচ ও শ্রম কম দিয়ে সনাতন পদ্ধতির চেয়ে বেশি ফসল পাওয়ায় নকলার কৃষকদের মধ্যে ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে ধান চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, দুপাশে প্লাস্টিকের দুটি চাকার ভেতর একটি লোহার দণ্ডের মধ্যে সারিবদ্ধভাবে নির্দিষ্ট দূরত্বে ছোট আকৃতির ছয়টি প্লাস্টিকের ড্রাম থাকে। প্রতিটি ড্রামে থাকে কয়েকটি করে ছিদ্র। প্লাস্টিকের চাকার সঙ্গে লাগানো থাকে একটি হাতল, যেটি ধরে একজন কৃষক সহজেই যন্ত্রটি টানতে পারেন। ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা হলেই যন্ত্রটি বানানো যায়।
কৃষকরা জানান , ড্রাম সিডারের মাধ্যমে একজন কৃষক এক দিনে দুই একর জমিতে ধান চাষ করতে পারেন। কিন্তু সনাতন পদ্ধতিতে এই ধানের চারা রোপণ করতে অন্তত ১৫-২০ জন শ্রমিক লাগত। তাই ধান চাষে ড্রাম সিডার ব্যবহার লাভজনক ফলে ধান চাষে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ড্রাম সিডারের ব্যবহার।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ড্রাম সিডারের মাধ্যমে ধান চাষের উৎপাদন ব্যয় কম, কিন্তু ফলন বেশি পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। এছাড়াও, ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হলে ফলন রোপা ধানের তুলনায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি হয়ে থাকে এবং ১০-১৫ দিন আগেই ধান পাকে। তাই,আগামীতে এই পদ্ধতিতে ধান চাষীর সংখ্যা ও জমির পরিমান বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।