দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বর্ষণের কারণে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, দশানী, জিঞ্জিরামের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার পৌর শহরসহ আটটি ইউনিয়নে প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ নানা প্রকার সবজির ক্ষেত। বন্যার কারণে হুমকীর মুখে রয়েছে দেলোয়ার হোসেন উচ্চবিদ্যালয়সহ দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী সড়ক। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে চুকাইবাড়ী ও চিকাজানি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম।
গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এনামুল হাসান জানান, বন্যা দুগর্তদের জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৫ মেটিকটন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। ত্রাণ ও শুকনো খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে এবং আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস জানান, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার ২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশীদ জানান, পানিবন্দি পরিবারদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে এবং তাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। মেডিকেল টিমও কাজ করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।