বৃহস্পতিবার, ০৮ Jun ২০২৩, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধানের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে বাংলার কৃষকদের মুখে। কিন্তু এতে বাঁধ সেধেছে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি, যা দিন দিন ভয়াবহ রূপ লাভ করছে। এমুহুর্তে সারা দেশ কার্যত লকডাউনে রয়েছে। এতে তৈরি হয়েছে মজুরের সংকট, পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষক। পাশাপাশি আবহাওয়া আভাস দিচ্ছে অতিবৃষ্টি ও বন্যার।
এমতাবস্থায় বাংলার অসহায়, দুঃখী কৃষকদের ক্রান্তিলগ্নে দৃঢ় প্রত্যয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সম্মিলিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অন্তঃপ্রাণ নেতা কর্মীরা।
কুড়িগ্রাম জেলায় রাজিবপুর উপজেলার চর সাজাই গ্রামে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আকিদুল ইসলাম সুমনের নেতৃত্বে কলিম হোসেন নামের এক হতদরিদ্র কৃষকের প্রায় ২ বিঘা জমির ধান কাটেন এবং কৃষকের ফসল বাড়িতে পৌঁছে দেয় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আনিসুল ইসলাম সোহেল কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার আওতাধীন শিলখালীর গরীব কৃষক ইসহাক আহমেদ এর সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন এবং ধান কেটে দেন।
সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জায়েম খান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কৃষক নুর ইসলামের জমিতে পাকা ধান কেটে দেন। তাছাড়া সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম নিশাত ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের আওয়তাভুক্ত সুতিয়াখালী গ্রামের ২৩নং ওয়ার্ডের কৃষক মহসিন মিয়া, সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সি.ই.সি বিভাগের ছাত্র মীর জুনায়েদ হোসেন জিসান ব্রাম্মনবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার কৃষক ভাই সাফা মিয়ার, এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির তাকুলদার নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানার কৃষক ভাই মাজহারুল এবং ঢাকা ইন্ট্যারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আরিয়ান খান আরজু নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার কৃষক ভাই নুর উল্লাহ-র জমির পাকা ধান কেটে দেয়।
এভাবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
এ প্রসঙ্গে ইউনিটের সভাপতি জাহিদ হোসেন পারভেজ বলেন, ”আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক সকল নেতাকর্মীদের কৃষক ও দুঃস্থ মানুষের সহায়তায় পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছি। দেশে বিভিন্ন প্রান্তে আমরা ধান কাটা, ত্রাণ বিতরণসহ মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করেছি। করোনা মহামারীর ফলে সৃষ্ট দুর্ভোগ মোকাবেলায় আমাদের অংশগ্রহণ অব্যাহত থাকবে।
সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হাকিম সম্রাট বলেন, “মানবের তরে মানবিক উৎকর্ষতাকে জাগিয়ে প্রবল ইচ্ছাশক্তির উন্মেষে এগিয়ে যাওয়ার নামই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ছিল, পাশাপাশি মানবিকবোধ থেকে আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী কৃষকসহ দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা মানুষের তরে বরাবরের মতোই অঙ্গীকারবদ্ধ। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে সমৃদ্ধির পথচলায় আমরা আবার ফিরে আসবোই।”
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.