রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
কবিতা : জুতোবদন । কবি : মো: জাকির হোসেন অপু কবিতা : বারবনিতা লেন । কবি : মো: জাকির হোসেন অপু অবশেষে জামালপুর থেকে ছাড়বে ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ একনজরে আওয়ামী লীগের ২৯৮ প্রার্থী স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন এমপি মুরাদ! নৌকার টিকিট পেলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম দৈনিক সত্যের সন্ধানের প্রতিদিন পত্রিকার কর্মকর্তা—কর্মচারীদের জন্য বাংলালিংক কর্পোরেট সিমের চুক্তি সম্পন্ন জামালপুর প্রেসক্লাবের হেভিওয়েট ৬ সদস্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি ১০ নভেম্বর মরহুম সিরাজুল ইসলাম খান (ছোট মাষ্টার) স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট — ২০২৩ সিজন—২ এর ফাইনাল খেলা
নকলায় আরআই মহর উদ্দিনের বিরুদ্ধে তার সহোদর ভাইসহ এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

নকলায় আরআই মহর উদ্দিনের বিরুদ্ধে তার সহোদর ভাইসহ এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি: শেরপুরের নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের সাইলামপুর পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা পুলিশ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত রিজার্ভ ইন্সপেক্টর (আরআই) মহর উদ্দিন-এর বিরুদ্ধে তার সহোদর বড় ভাই অসহায় কফিল উদ্দিনসহ ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

রবিবার (১৪ নভেম্বর) পড়ন্ত বিকেলে কফিল উদ্দিনের বাড়িতে মহর উদ্দিন-এর সহোদর বড় ভাই অসহায় কফিল উদ্দিন ও এলাকাবাসীরা মিলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

এ সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ রানা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তাছাড়া কান্না জড়িত কণ্ঠে বক্তব্য রাখেন, মহর উদ্দিন-এর সহোদর বড় ভাই ভুক্তভোগী কফিল উদ্দিন, স্থানীয় ভুক্তভোগী জোসনারা খাতুন, মো. দুসমামুদ মিয়া, মিজানুর রহমান বাদশা, মো. ওয়াজেদ মিয়া, আজিজুল হক ও স্থানীয় মাদরাসায়ে রাওজাতুল কুরআনিয়া মাদরাসার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদুল্লাহসহ অনেকে।

এসময় ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীদের মধ্যে শাহজাহান কবির, সাদিকুর রহমান, মোজাম্মেল, আল আমিন, শামীম মিয়া, কালাম, কাউসার, শাহিনুল ইসলাম, মারুফ মিয়া, রুবেল মিয়া, ছাইফুল ইসলাম, মনর উদ্দিন, সবুজ মিয়া, জুয়েল মিয়া, বাদল মিয়া, নিজাম উদ্দিন, মোশারফ হোসেন, আমির উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, রফিকুল, আরিফুলসহ স্থানীয় শতাধিক নারী-পুরুষ ও বিভিন্ন গনমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অবসরপ্রাপ্ত রিজার্ভ ইন্সপেক্টর (আরআই) মহর উদ্দিন বিভিন্ন জনের কাছে যত জমি বিক্রি করেছেন, সব জমি নির্ধারিত দাগে ও কাতে দখল দিলেও, দলিলে উল্লেখ করেছেন ভিন্ন দাগ-খতিয়ান; যেসকল দাগ খতিয়ানে মহর উদ্দিনের কোন জমি নেই। তাছাড়া যেসকল জমির দাগ খতিয়ান ঠিক দিয়েছেন, সেকল জমি দখল দিতে দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা করে আসছেন।

মহর উদ্দিন-এর সহোদর বড় ভাই অসহায় কফিল উদ্দিন অভিযোগ এনে বলেন, মহর উদ্দিন নিজের জমি দেখিয়ে ও দখল দিয়ে আমার সাব কওলা মূলে ক্রয় করা জমির দাগ নম্বর দলিলে তুলে দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়ে বিবাদের সৃস্টি করেছে। এখন আমাকে ওই জমি ছেড়ে দিতে বলে। আমি সাব কওলার জমি ছাড়তে অসম্মতি জানালে আমাকেসহ আমার নিকট আত্মীদের জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করেছে। কফিল উদ্দিন এ সবের সুষ্ঠ বিচার কামনা করছেন।

দুসমামুদ বলেন, আমি কোনদিন আমার কোন জমি বিক্রি করিনাই। অথচ মহর উদ্দিন হঠাৎ করে বলাবলি শুরু করেছেন ১১৮৪ দাগের আমার দখলে থাকা ১ একর ৩১ শতাংশ জমি নাকি তার। অন্যের জমিকে নিজরে বলে অপপ্রচার চালানো মানেই দুসমামুদকে হয়রানি করার পায়তারা বলে মনে করছেন অসহায় দুসমামুদ।

মিজানুর রহমান বাদশা বলেন, প্রায় একযুগ আগে মহর উদ্দিন আমার কাছে ৯৩৪ দাগে সাড়ে ২০ শতাংশ ও ৯৩৫ দাগে সাড়ে ৬ শতাংশ জমি সাব কাওলা মূলে বিক্রি করেন। সাড়ে ২০ শতাংশ জমিতে আবাদ করে আসছি এবং সাড়ে ৬ শতাংশ জমিতে বাড়ীঘর বানিয়ে বসবাস করে আসছি। একযুগ পরে সে এখন ৯৩৫ দাগে সাড়ে ৬ শতাংশ জমি ছেড়ে দিতে বলেন। এনিয়ে বেশ কয়েকটি বিচার সালিশে বিচারকগন সকল কাগজপত্র দেখে মহর উদ্দিনের এমন অন্যায় হীনকর্মের নিন্দা জানিয়ে আমার পক্ষে রায়দেন। এর পরেও চাপ অব্যাহত রাখে, কিন্তু রেজিষ্ট্রেশন মূলে ক্রয় করা জমি ছাড়তে অসম্মতি জানালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে। তাছাড়া এ জমি না ছাড়লে একের পর এক মামলা দিয়ে আমাকে ভূমিহীন করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছে।

আজিজুল হক বলেন, মহর উদ্দিন তার কাছে ২৪ শতাংশ জমি বিক্রি করেন, কিন্তু কাওলা নাদিতে পায়তারা করলে দীর্ঘদিন পরে হলেও এলাকাবসীরা মিলে মহর উদ্দিনকে অনুরোধ করলে ২৪ শতাংশের পরিবর্তে ১৭ শতাংশ জমি কাওলা দেয় এবং বাকি ৭ শতাংশ জমির জন্য সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন সেই মহর উদ্দিন।

মহর উদ্দিনের ভগ্নিপতি আ. জব্বারের সাথে তার জমি রেওয়াজ বদল করেন। পরে আ. জব্বার ওই জমি স্থানীয় আমিনুল ইসলামের নিকট বিক্রি করদেন। এখন মহর উদ্দিন ওই জমি নিজের বলে দাবী করছেন, কিন্তু তার সাথে রেওয়াজ কৃত জমি আ. জব্বারকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন না।

মাদরাসায়ে রাওজাতুল কুরআনিয়া মাদরাসা পরিচালনা কমিটির আসাদুজ্জামান আসাদুল্লাহসহ কমিটির অনেকে জানান, এলাকাবাসীরা মসজিদের সাথে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে প্রতি কাঠা জমি ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা হিসেবে সাব কাওলা মূলে বিক্রি করেন। কিন্তু জমির দলিলে দাগ উঠানো হয় অন্যদাগ ও বেশ দূরের জমি। যা এলাকাবাসীর সাথে মহর উদ্দিন স্বভাজাত প্রতারনা করেছেন বলে মন্তব্য করেন তারা।

এবিষয়ে মহর উদ্দিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জমির দলিলে দাগ নম্বর ভুল হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও অন্যসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব বিষয়াধি নিয়ে আদালতে ও থানায় মামলা চলমান আছে। তিনি আরো বলেন- আমার এসব বিষয়াদি সম্পর্কে শেরপুরের ডিসি, এসপি, এডিএম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, নকলা থানার ওসি, এসআইসহ অনেকে জানেন। এখন আইন মোতাবেকই সব হবে বলে তিনি জানান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply




© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY SheraWeb.Com