নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
জামালপুরে শাহজামাল নিন্ম মাধ্যমিক একাডেমির প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনিয়ম,দূণীতি ও শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, অনিয়ম দূর্ণীতি ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে শাহজামাল নিন্ম মাধ্যমিক একাডেমি। পক্সি শিক্ষক দিয়ে চালাচ্ছে বিদ্যালয় পরিচালনা । অফিস কক্ষে হাজিরা খাতা,রেজুলেশন খাতা ও মুভমেন্ট না থাকাসহ রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে ২১শে ফেব্রæয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেনি। এই প্রধান শিক্ষক একসময় জামায়াত ইসলামী নামে রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন বর্তমানে হিজবুত তাওহিদের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট নানাজনের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
শিক্ষক নিয়েগের মুলা ঝুলিয়ে বেশকজনের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এমপিও ভুক্তি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ দেয়ার এখতিয়ার না থাকলেও তিনি শাম্মী ও শওকত নামে দুইজনকে সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরি দেয়ার কথা বলে ১২ লাখ টাকা দাবি করেন। তারা ৬লাখ টাকা প্রধান শিক্ষকের হাতে তুলে দিয়েছেন। অফিস সহকারী পদে ওই বিদ্যালয়ে ১৩ বছর ধরে চাকুরি করেছেন রাসেল মাহমুদ। এমপিও ভুক্তির পর চাকুরী স্থায়ী করার জন্য ৬লাখ টাকা দাবি করেন। রাসেল ৫লাখ টাকা স্বীকার করে প্রাথমিক পর্যায়ে ৬৫ হাজার টাকা জমা দেন। তাকে চাকুরী খেকে অব্যহতি দিয়ে বেশী টাকার বিনিময়ে অন্য একজনকে চাকুরি দেন বলে অভিযোগ করেছে রাসেল মাহমুদ। এছাড়াও আরো অনেকের কাছে এমনিভাবে নিয়োগ দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
সহকারী শিক্ষক আরমান হোসেন বলেন, সহকারী শিক্ষক পদে চার বছর চাকুরি করেছি। বিদ্যালয় এমপিও ভুক্তির পর চাকুরি স্থায়ী করনের কথা বলে প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান আমার কাছে ৬লাখ টাকা দাবি করে। আমি ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা না দেয়ায় আমাকে চাকুরি থেকে অব্যহতি দিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষক ও অফিস সহকারী পদে নিয়োগের জন্য যাদের কাছে টাকা নিয়েছি তাদের টাকা স্কুলের কাজে ব্যবহার করেছি। তাদের সকলের টাকা আমি ফিরিয়ে দিবো। স্কুলে নিরাপত্তা না থাকায় হাজিরা খাতা,রেজুলেশন খাতা ও মুভমেন্ট খাতাসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট তার বাড়িতে রাখে বলে স্বীকার করেন তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে অন্যসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন এই শিক্ষক।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান শিক্ষকের নামে নানা অনিয়মের অভিযোগ আমার কাছে আসলে তাকে প্রথমে মৌখিকভাবে সর্তক করেছি। তারপরেও অনিয়ম,দূর্ণীতি ও স্কুল অব্যবস্থাপনা অব্যাহত থাকায় একাধিকবার কারন দর্শনো নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু কারান দর্শানোর কোন জবাব দেয়নি। তার মতো মনগড়াভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা কওে আসছে। এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসকে অবহতি করলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছানোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান শিক্ষকের এসব বিষয় নিয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছিলাম। তার অনিয়ম দূণীতির অব্যবস্থাপনা নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তবে বেসরকারী বিদ্যালয়ের কেউ অনিয়ম ও দূর্ণীতি করলে ব্যবস্থা নেয়র এখতিয়ার ম্যানেজিং কমিটির। ম্যানেজিং কমিটি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে আমাকে জানিয়েছে।