আব্দুল মোতালেব ॥
চেক জালিয়াতির প্রতারক চক্রের কবলে পড়ে হয়রানীমূলক মামলায় শিকার হচ্ছে জামালপুরের ইসলামপুরের চিনাডুলী ইউনিয়নের পশ্চিম বাবনা ঘোনাপাড়া গ্রামের দুলাল সেখের মেয়ে প্রতিবন্ধী সাকিমা বেগম।
সাকিমার অভিযোগ, ২০১৮ সালে ঢাকা গাজিপুরে গার্মেন্টসে চাকুরী করার সময় পরিচয় হয় চাঁদপুর থানার শাহ আলমের ছেলে আরিফ ও চাদঁপুর থানার বাবুর হাট রশিদের ছেলে রাসেল এর সাথে। এর পর তারা তাকে তাদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় মাসিক ১৬হাজার টাকা বেতনের চাকুরীর কথা বলে সাকিমার নিজের নামে ইসলামী ব্যাংকে একটি একাউন্ট করায়। এরপর তারা সাকিমাকেন্ট কুমিল্লা জেলায় তাদের ব্যবসা রয়েছে বলে সেখানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা সাকিমাকে একটি চেক দিয়ে বলে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে তার একাউন্টে রাখার জন্য। ব্যাংকে চেক নিয়ে গেলে ব্যাংকার চেক জালিয়াতির বিষয়টি টের পেয়ে দুই ঘন্টা পর পুলিশের হাতে তুলে দেয় সাকিমাকে। এরপর পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন সাকিমার দেওয়া তথ্য মোতাবেক চাঁদপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে চেক জালিয়াতি চক্রের ২৪জনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী সাকিমাসহ অন্যান্যদের আসামী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা হয়। মামলা নং-৩৬,তারিখ-১৩/১১/২০১৮ইং। চাঁদপুর সদর থানা জি আর নং-৬৪৮/২০১৮ইং। ধারা ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৬/৪২০দ: বি:। প্রতারণা চক্রে ফেঁসে গিয়ে হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী সাকিমা কোন উপায় না পেয়ে হাইকোর্ট বিভাগের ক্রিমিনাল মিস কেইচ নং-২৯০১০১/২০১৯ইং মূলে বিগত ০৭/০৫/২০১৯ইং তারিখে আদেশে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত ৬মাসের জামিন মঞ্জুর করে। এরপর থেকে সাকিমা চাঁদপুর আদালতে কয়েকবার হাজিরা দিলে গেলে চেক জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা তাকে নৌ পথে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সাকিমা বর্তমানের নিজ বাড়িতে অবস্থান করা সময় গত ২১দিন পূর্বে ইসলামপুর থানা পুলিশ গভীর রাতে সাকিমার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাকিমাকে আটক করে জামালপুর জেলহাজতে প্রেরণ করে। পরে অসহায় প্রতিবন্ধী সাকিমার পরিবার স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের মাধ্যমে জামালপুর আদালত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। প্রতারক চক্রের কবলে পড়ে অর্থনৈতিকসহ মামলা ও হুমকিসহ হয়রানীর শিকার হচ্ছে প্রতিবন্ধী সাকিমা বেগম। এ ব্যাপারে প্রতারক চক্রের কবল থেকে রক্ষাসহ মামলা থেকে রেহাই পেতে মানবাধিকার সংস্থাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রতিবন্ধী সাকিমা ও তার পরিবার।
