বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
কবিতা : জুতোবদন । কবি : মো: জাকির হোসেন অপু কবিতা : বারবনিতা লেন । কবি : মো: জাকির হোসেন অপু অবশেষে জামালপুর থেকে ছাড়বে ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ একনজরে আওয়ামী লীগের ২৯৮ প্রার্থী স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন এমপি মুরাদ! নৌকার টিকিট পেলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম দৈনিক সত্যের সন্ধানের প্রতিদিন পত্রিকার কর্মকর্তা—কর্মচারীদের জন্য বাংলালিংক কর্পোরেট সিমের চুক্তি সম্পন্ন জামালপুর প্রেসক্লাবের হেভিওয়েট ৬ সদস্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি ১০ নভেম্বর মরহুম সিরাজুল ইসলাম খান (ছোট মাষ্টার) স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট — ২০২৩ সিজন—২ এর ফাইনাল খেলা
ভিক্ষা করে জীবন চলে সাবেক অধ্যক্ষের

ভিক্ষা করে জীবন চলে সাবেক অধ্যক্ষের

স.স.প্রতিদিন ডেস্ক ।।

জাতি গঠনের ইচ্ছায় জ্ঞানের আলো বিলিয়ে দিতে শিক্ষকতায় ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের আব্দুস সালাম (৭০)। বয়সের ভারে এখন অনেকটাই নুয়ে পড়েছেন, শিক্ষকতা থেকে নিয়েছেন অবসরও। তবে পায়ের ব্যথায় স্বাভাবিক চলাফেরা করতে অক্ষম এ শিক্ষক। শুধু শারীরিক সমস্যা নয়, আর্থিক অনটনও ঘিরে ধরেছে তাকে। এখন ভিক্ষা করে সংসার চলে তার। আব্দুস সালামের বাড়ি জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি উপজেলাটির দারুস সালাম সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ। শিক্ষকতার মহান পেশায় নিয়োজিত ছিলেন দীর্ঘ ২২ বছর। শিক্ষক আব্দুস সালাম জানান, ১৯৯৮ সালে ধানবোঝাই ট্রাক্টর তার পায়ের ওপর পড়ে যায়। বাম ও ডান পায়ের মাংসপেশিতে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় বাম পায়ের টিস্যু ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলাফেরা করতে অক্ষম হয়ে পড়েন। পরে বিভিন্ন ডাক্তার-কবিরাজ-হেকিম দেখালেও তারা পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে পারেননি তাকে।

তিনি জানান, নিজের শারীরিক অক্ষমতার কারণে সরে দাঁড়ান শিক্ষকতা পেশা থেকে। এদিকে চিকিৎসার অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তার পরিবার। স্ত্রী ছাড়াও এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। খেয়ে না খেয়ে কোনোভাবে দিনাতিপাত করেন। পরে বাধ্য হয়েই নেমে পড়েন ভিক্ষাবৃত্তিতে। লজ্জা আর অপমানে মুখ লুকাতে নিজ এলাকা ছেড়ে দূরে গিয়ে ভিক্ষা করেন এ শিক্ষক। তিনি উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়নের একটি মসজিদে রাত কাটান তিনি, সপ্তাহজুড়ে ভিক্ষা করে যে টাকা উপার্জন হয় তা পরিবারের কাছে পাঠান।

শিক্ষক আব্দুস সালামের সম্পত্তি বলতে ৩ শতাংশ জমি ছিল। সুস্থ অবস্থায় তিনি হজে যাওয়ার নিয়ত করেছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় হজে যেতে না পারায় জমিটি তিনি স্থানীয় মসজিদের নামে লিখে দেন। অভাবের কারণে ছেলে-মেয়েকে পড়াশোনা করাতে পারেননি। মাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরুতেই কাঠমিস্ত্রি কাজে লেগে যায় ছেলে। মেয়ের বিয়ের বয়স হলেও খরচের কারণে বিয়ে দিতে পারছেন না বলে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে জানান এ শিক্ষক।

শিক্ষক আব্দুস সালাম জানান, তিনি রাষ্ট্রীয় কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না। ২২ বছর শিক্ষকতা করে তিনি জীবনে কী পেলেন সে প্রশ্ন তার মনে বার বার উঁকি দেয় বলে জানান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply




© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY SheraWeb.Com