শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নের সফল জনতার চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম খান সোহেল মাদারগঞ্জে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু  ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত প্রচারে ব্যস্ত আ.লীগের প্রার্থীরা কৌশলী অবস্থানে বিএনপি মাদারগঞ্জ পৌরসভার নব নির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন মির্জা আজম এমপি  মাদারগঞ্জ ঝাড়কাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ মাদারগঞ্জে শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মেষ্টার চান্দের হাওড়া এলাকার রাস্তা নয়, যেন মরণ ফাঁদ! চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আন্ত:বিভাগ ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল খেলায় ইংরেজি বিভাগ কে ১—০ গোলে হারিয়ে আইন বিভাগ চ্যাম্পিয়ন মাদারগঞ্জে ভূমি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলেন  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইলিশায় রিছিল

মন্তব্য কলাম

দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন এর কষ্টসাধ্য পথচলায় আমরা চাই
পাঠক-বিজ্ঞাপনদাতাসহ সকল মহলের সর্বাত্মক সহযোগিতা
॥ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল॥
বলাই বাহুল্য জামালপুর জেলা সংবাদপত্র জন্মদানের উর্বর ভূমি। আর এ কথা সংশ্লিষ্ট সকলেই অবগত। এ জেলা থেকে একে একে অনেকগুলো দৈনিকের জন্ম হলেও বেঁচে থাকা পত্রিকার সংখ্যা কিন্তু সত্যিই নগন্য। কাজীর গরু যেমন কিতাবে থাকে আমাদের এসব পত্রিকাগুলোও সঙ্গত কারণেই নামেই প্রকাশ্য। একথা বলতে আমি লিখতে বসিনি যে, তারা পত্রিকা বের করতে পারছে না কিন্তু আমি পারছি। বরং আমি একথা বলতে লিখতে বসেছি যে, যারা পত্রিকা বের করবে বলে পত্রিকার ডিক্লারেশন নিয়েছিল উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা, অনুকুল পরিবেশ আর প্রয়োজনীয় সবদিক থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে তারা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে উঠতে পারেনি। পারেনি এ ব্যর্থতা শুধু তাদের নয় জামালপুরবাসী হিসেবে আমাদের সকলের। কেননা তারা সমাজ সংস্কারের যে দুর্গম পথে আমাদের ভালবাসাকে পুঁজি করে এগিয়ে যেতে মনস্থির করে তাদের হাতের পাঁচ দেদার ঢেলে দিয়ে আমাদের চেতনাকে সমৃদ্ধ করতে পথে নেমেছিল আমরা তাদের সমর্থন করতে সংকোচ বোধ করেছি। জ্ঞানের পৃষ্ঠপোষকতা করতে আমরা কার্পণ্য করেছি। বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি আমাদের সংবাদপত্র শিল্পের ব্যাপকতার শ্রেষ্ঠত্বকে। কিন্তু একথা না বললেই নয় যে দেশে জ্ঞানের মূল্যায়ন করা হয়না, সে দেশে জ্ঞানী জন্মায় না। জ্ঞানের কদর তো জ্ঞানীদেরই মানায়। তাই আমরা কি তবে দিনে দিনে জ্ঞানহীন জনপদে পরিণত হতে চলেছি। বোধকরি তাই। আমরা আজ পত্রিকার চেয়ে নিজেদের বাঁচাতেই বেশি ব্যস্ত। যেনতেন গোছের একটি পত্রিকার পরিচয়পত্র বাগিয়ে নিয়ে নিজেদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করার হাতিয়ার হয়ে বেঁচে থাকার জন্যেই বোধকরি আমাদের বর্তমান। সে কারণে স্থানীয় পত্রিকার সংখ্যা দিনদিন হ্রাস পেতে চলেছে। সংবাদপত্রে নিরপেক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে বিবেচিত। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সকলে যখন সংবাদপত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তখন সংবাদপত্রতো কোন পক্ষের হয়ে যাবেই। একথা অনেককে আফসোসের সাথে আমরা প্রায়ই বলতে শুনি ওটা বিএনপির, ওটা আওয়ামী লীগের, ওটা জাতীয় পার্টির, ওটা জামায়াত ইসলামের পত্রিকা। তবে জনগণের পত্রিকা কোনটা? আর আমরা বলি আমরাওতো নানা দলে আর মতে বিভক্তির মধ্যেই আছি। আমরাই তো আজও নীতিগত কারণেও ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। জাতীয়ভাবেতো নয়ই কিন্তু স্থানীয়ভাবেও আজ আমরা সত্যিই বন্ধনহীন অনৈক্যের কারণে ছন্নছাড়া জীবনের আর স্বার্থের অধিকারী। আর এ কারণে প্রতিনিয়তই জনস্বার্থ পড়ে পড়ে মার খায়। আর আমরা আফসোস করে নিজেদের ঐক্যের দেউলিয়াপনার জানান দেই। একথা এতটাই সত্য যে যতদিন আমরা জনস্বার্থে আপোষহীন হতে না পারবো ততদিন আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাব না। ঐক্যবদ্ধ জাতিস্বত্তা গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের স্বাধীনতা অর্থহীন হয়েই বেঁচে থাকবে। আমরা আমাদের স্বার্থকে সমুন্নত করতে চাইলে জন্ম দিতে হবে নিরপেক্ষ সংবাদপত্রের। আর নিরপেক্ষতায় আমাদের সকলের অবদান অনস্বীকার্য। তাই আসুন নিরপেক্ষ একটি দৈনিকের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে এসে নিজের দায়মুক্তি ঘটাই। সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন পত্রিকাটির পথচলায় পাশে দাঁড়াই। আমরা আপনাদের নিয়ে নিরপেক্ষভাবে এগিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply




© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY SheraWeb.Com