নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
জামালপুরের মেলান্দহে যাত্রী বেসে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইয়ের শিকার শ্যামপুর আমডাঙ্গা গ্রামের কিফাত আলীর ছেলে অটোরিক্সা ড্রাইভার আব্দুল আজিজ (৩৫) জানান-১৭ এপ্রিল দিবাগত রাতে দুরমুঠ মাসব্যাপী বৈশাখী ওরশ মেলায় যাই। সেখান থেকে রাত ৯টার দিকে চরবসন্ত গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে লাবলু (৩২)সহ ৪ জন যাত্রী বেসে শাহাজাতপুর খানপাড়া মোড় পর্যন্ত আসার জন্য অটোরিক্সাটি রিজার্ভ ভাড়া নেয়। খানপাড়া মোড়ে আসার পর আমাকে আরেকটু সামনে যেতে বলে। খানপাড়া-টুপকারচর রোডের ফাঁকা স্থানে ছিনতাইকারিরা আমাকে অস্ত্রের ভয় দেখায়। আমার পরণের লুঙ্গি ছিড়ে আমার হাত-পা-মুখ বেধে ফেলে। মারধর শেষে জখমি অবস্থায় রাস্তায় ফেলে অটোরিক্সাটি নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরেই পিছন থেকে আরেকটি রিক্সা চালক রাস্তার পাশে পড়ে থাকা আব্দুল আজিজকে উদ্ধার করে টুপকারচর বাজারে নিয়ে যান। স্থানীয় আ’লীগ নেতা মমিনুল ফারাজী, আহসান আলী মেম্বারসহ এলাকাবাসি মোটরসাইকেল নিয়ে অটোরিক্সা উদ্ধারে বিভিন্ন দিকে তল্লাশি চালায় এবং ফোনে জানাজানি করতে থাকেন। ২ নং চর ব্রিজ এলাকায় খালি জায়গায় কয়েকটি মোটরসাইকেল আসতে দেখে অটোরিক্সা থেকে লাফ দিয়ে তিন ছিনতাইকারি দৌড়ে পালিয়ে যায়। আরেক ছিনতাইকারির হাতে থাকা ছুরা ঘুরিয়ে ভীতির সৃষ্টির করে সেও দৌড়ে পালিয়ে যায়। অটোরিক্সা এবং মোটর সাইকেলের লাইটে ছিনতাইকারি লাবলু (৩২) নামে একজনকে চিনতে পারেন। স্থানীয়রা অটোরিক্সায় আরো একটি রাম দা উদ্ধার শেষে শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মাস্টারের কাছে জমা দেন। রাতেই আহত ড্রাইভার আব্দুল আজিজকে মেলান্দহ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসি অভিযোগ ছিনতাইকারি চক্রটি বিভিন্ন স্থানে অটোরিক্সা ছিনতাই করেই চলেছে। এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিসহ অপকর্ম করেই চলেছে। এর মদদদাতা হিসেবে জনৈক সূধি ব্যক্তির দিকে আঙ্গুল তোলা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই মামলা দিতে মেলান্দহ থানায় পাঠানো হয়েছে।
ডিউটি অফিসার এসআই আব্দুল মান্নান জানান-ভূক্তভোগির সাথে রাতেই ১৫/২০ জন লোক থানায় এসে এজাহারভূক্ত আসামীর বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগের কথাও বলেছেন। রাতেই অভিযোগ নেয়া হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। কিন্ত অফিসার ইনচার্জ মায়নুল ইসলাম জানান-এ পর্যন্ত আমার কাছে কেও আসেনি। আমি কিছুই বলতে পারছি না।