বুধবার, ০৭ Jun ২০২৩, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
জামালপুর সদর উপজেলার ১৩নং মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জননেতা হারুন-অর-রশিদ তরফদার বাদলের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
আওয়ামী ঘরানার ত্যাগী নেতাকর্মীদের আশা-আকাঙ্খার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে তিনি তার সর্বান্তঃকরণে সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনাকালীন এ দুর্যোগে তিনি তার সাধ্য অনুযায়ী ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় খাদ্যসামগ্রী আর স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। তিনি এ কাজে তার বিশাল কর্মীবাহিনীকে সম্পৃক্ত করে ঘটিয়ে যাচ্ছেন ভোটের মাঠের নিরব বিপ্লব। সাধারণ মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা তাই উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।
এদিকে বাদল তরফদার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৩নং মেষ্টা ইউনিয়নের আওয়ামী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বাদল তরফদার স্কুল জীবনেই ছাত্রলীগের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে পড়েন। শুরুটা ছিল ১৯৮৮ সালে। তখন তিনি ৮ম শ্রেণির ছাত্র। শুরুতেই মেষ্টা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রমোদ ও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। পরবর্তীতে মেষ্টা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক, জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, মেষ্টা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক, মেষ্টা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মানিত সদস্য, মেষ্টা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক, তারপর অনেক ঘাত-প্রতিঘাত আর চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে বর্তমানে মেষ্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অসাধারণ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠা আর দুরদর্শীতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি। তার বর্ণিল রাজনৈতিক জীবন দলের জন্য শ্রম আর ত্যাগে ভরপুর। তার জীবনের ৩৩টি বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস যেন বঞ্চনার এক বাস্তব গল্পগাঁথা। জীবনের স্বর্ণালী সময়গুলো তিনি বিনিয়োগ করেছেন তার প্রাণপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের জন্য। বিনিময়ে প্রাপ্তি বলতে কর্মী সমর্থকদের ভালবাসা বৈ আর কিছুই জোটেনি তার ভাগ্যে। তথাপিও তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শকে বুকে লালন করে এ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলব্যাপী গড়ে তুলেছেন শেখ হাসিনার এক দূর্ভেদ্য দূর্গ। একারণে তার ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনে একের পর এক এসেছে বাধা। তবু তিনি দমে যাননি। আর একারণেই আওয়ামী লীগের বিরোধীমহলের আতঙ্ক ও রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে ব্যাপক। তার এ পরিচিতি আর কঠোর পরিশ্রমে আওয়ামী লীগের মাঠ বরাবরই উর্বর থেকে উর্বরতর হয়েছে। আর এ উর্বর মাঠের ফসল ঘরে তুলেছেন অন্যরা। তার ভাগ্যে জুটেছে শুভঙ্করের ফাঁকি! তথাপি আশায় বুক বেধে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন এ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরীক্ষিত ও প্রকৃত সৈনিক। নৌকার পক্ষে ভোট আনতে চষে বেড়িয়েছেন ইউনিয়নের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। দুর্বার ও দৃঃসাহসী এ যাত্রায় তিনি ছিলেন দ্বিগি¦জয়ী এক সৈনিক। কিন্তু বিধিবাম! অবশেষে বিএনপি-জামাতের ডাকা হরতালের আগের দিন ২০১৩ সালের ৯ নভেম্বর হরতাল বিরোধী মিছিলের জন্য মেষ্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আশরাফ ফারুকী রুকনের ফার্মেসীতে আহ্বানকৃত এক রাজনৈতিক সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় একটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র তাকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের কাছে তিনি ধৃত হয়ে প্রহৃত হন এবং সেই বর্বরতম মধ্যযুগীয় হামলায় তিনি তার অতিমূল্যবান একটি চোখ চিরতরে হারিয়ে ফেলেন। এরপর ঘটে যায় অনেক নাটকীয় ঘটনা। এরপর কেটে গেছে অনেকটা সময়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকল ত্যাগী নেতাকর্মীদের প্রতীক্ষা এবারের একটি অর্থবহ নির্বাচনের। আর এবারের নির্বাচনে মোঃ হারুন-অর-রশিদ তরফদার বাদল ওরফে বাদল তরফদারকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয় দিয়ে যথার্থ মূল্যায়ন প্রত্যাশায় বুক বেধে আছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ তার অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা।
<!- start disable copy paste –></!->
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.