হাকিকুল ইসলাম খোকন, সিনিয়র প্রতিনিধি: কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সবুজ মিয়ার। অনলাইন মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন তরুণ চিকিৎসক সাকিল সরোয়ার। তিনি পেশায় চিকিৎসক। পিরোজপুর শহরের শিকারপুর সড়ক এলাকায় তার বাড়ি। কর্মস্থল পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল। শখ মেটাতে মার্কিন কোম্পানি অ্যাপলের তৈরি আইফোন কেনার জন্য লক্ষাধিক টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সবুজ মিয়া নামে কিডনি রোগে আক্রান্ত এক ব্যক্তির টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছিল না জেনে শখের ফোনের জন্য জমানো টাকা তার হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে সাকিল সরোয়ার বলেন, “আমি অনলাইনের মাধ্যমে সবুজের বিষয়ে জানতে পারি। অসুস্থ স্বামীর জন্য সবুজের স্ত্রী কিডনি দিতে রাজি হলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাধা দেয়। এরপর এগিয়ে আসেন সবুজের মা। তখন সমস্যা দেখা দেয় টাকার। সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস করতে ১১ হাজার টাকা লাগে। আমি বিষয়টি শুনতে পেয়ে সবুজ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং ছয় মাস ধরে আইফোন কেনার জন্য জমানো লক্ষাধিক টাকা তার হাতে তুলে দেই।”
এই চিকিৎসক আরও জানান, তিনি ছাড়া এক প্রবাসী সবুজ মিয়াকে এক লাখ টাকা দিয়েছেন। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও একজন সবুজ মিয়াকে এক লাখ টাকা দিয়েছেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে সবুজ মিয়ার কিডনীর অপারেশন হবে।
সাকিল সরোয়ারের একমাত্র ভাই জামিল সরোয়ার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়কএ থাকেন। সেখানে তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ এনওয়াইপিডির গোয়েন্দা ব্যুরোতে কর্মরত।
তাদের বাবা সরোয়ার হোসেন ছিলেন একজন সফল আইনজীবী। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে সংশ্লিষ্টতা ছিল তার। করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে জামিল সরোয়ারের নিউইয়র্কে বাড়িতে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
সাকিল সারোয়ারের মা রেনু সারোয়ার পিরোজপুরের একটি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।