শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর সদর উপজেলার ৭নং ভাতশালা ইউনিয়নের মধ্যবয়ড়া নামাপাড়া এলাকায় জমি জমা বিষয়াবলি নিয়ে কফিল উদ্দিন (৫৩) সাথে একই এলাকার প্রতিবেশি সোহেল মিয়া (৩০) গংদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে ১৫ জুন মঙ্গলবার সকালে বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় কফিল উদ্দিন এর স্ত্রী মোছাঃ নছিরন বেগম (৫০) ও মেয়ে ময়না খাতুন (২৫) গুরুত্বর আহত হন।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা বিষয়াবলি নিয়ে সোহেল মিয়া (৩০), জুয়েল মিয়া (২৫) মিসকিন মিয়া (৩৫) রুবেল মিয়া (২২) আফর উদ্দিন (৫৫) ইদ্রিস আলী (৩৫) গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই অংশ হিসেবে গত ১৫ জুন মঙ্গলবার সকালে কফিল উদ্দিনের বসতবাড়িতে পরিকল্পিতভাবে দাঁড়ালো অস্ত্র সজ্জে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায় তারা। হামলায় বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে একই সাথে কফিল উদ্দিন এর মেয়ে ময়না খাতুন (২৫) এর গলায় থাকা একটি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় বসতবাড়িতে হামলা চালানোর বাধা দেওয়ায় কফিল উদ্দিন এর স্ত্রী ও মেয়েকে বেধর মারধর করেন। পরে তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা গুরুতর আহত কফিল উদ্দিন এর স্ত্রী ও মেয়েকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে অটোরিকশা যোগে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তারা দুজনই চিকিৎসাধীণ অবস্থায় রয়েছে।
এব্যাপারে কফিল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হঠাৎ করেই সোহেল মিয়াসহ ৬/৭ জন আমার বসতবাড়ীতে হামলা চালায়। এতে আমার স্ত্রী ও কণ্যাকে দাড়ালো অস্ত্র ধারা আঘাত করে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। আহতদের মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাদেরকে অটোরিকশা যোগে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা দুজনই চিকিৎসাধীণ অবস্থায় রয়েছে।
এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে।