সোমবার, ০৫ Jun ২০২৩, ০৮:২৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুর – জামালপুর আঞ্চলিক সড়কের পুরাতন ব্রম্মপুত্র নদের ব্রীজের টোল আদায়ের দরপ্রত্র নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায় দরপত্র মুল্যের পে-অর্ডারে ১০% টাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুকুলে দেবার কথা থাকলেও নিয়ম না মেনে কম টাকার পে-অর্ডার কেটে শর্ত ভঙ্গ করে দরপত্র দাখিলের অভিযাগ উঠেছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ ব্রীজটি বিগত ২০১৮ সালে দরপত্র আহবান করলে শেরপুরের একটি প্রতিষ্ঠান ১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকায় তিন বছরের চুক্তিতে দরপত্রের কার্যাদেশ পেয়ে টোল আদায় করে। পরে তাদের মেয়াদ শেষ হলে চলতি বছরে কয়েক দফা দরপত্র আহবান করে পরে গত জুন মাসে প্রায় ৫ কোটি টাকা কমে মাত্র ৯ কোটি টাকায় প্রস্তাব করে সিএস পাশ করার জন্য সড়ক ও জনপথ এর বিভাগীয় অফিসে পাঠানো হলে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তা বাতিল করা হয়। পরে গত ৫ জুলাই আবারও দরপত্র আহবান করলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেন। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১৪ কোটি ৪০লাখ টাকা দরে দরপত্র দাখিল করেন মেসার্স রাব্বীনুর ট্রেডাস। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী উদ্বৃত দরের ১০% টাকা ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার না দিয়ে পরিবর্তে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা পে-অর্ডার জমাদেন প্রতিষ্ঠনটি যাহা দরপত্রের শর্ত বিরোধী। দুটি প্রতিষ্ঠান লিখিত অভিযোগ করেন বিষয়টি নিয়মবর্হিভুত দাবী করে । লিখিত অভিযোগ দাবী করা হয় ব্রীজটি পূণঃ দরপত্র আহবান করলে দরপত্রের ডাক মুল্য বাড়তে পারে। যাহা সরকারের জন্য বেশি রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ব্যাপারে শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খঃ মোঃ শফিউল আলম জানান, দরপত্রের ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি আমরা ৩ টি দরপত্র আমাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠাবো তার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.