গারো পাহাড়ের পাদদেশখ্যাত সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের বরুয়াজানি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন অন্যন্য প্রতিভাবান দূরদর্শী ও মেধাবী সংগঠক শহীদ ন.ম নাজমুল আহসান।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেছিলেন, অংশ নিয়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে।
৭১ এর ৬ জুলাই দলনেতা হিসেবে কাটাখালিতে নিজের জীবন উৎসর্গ করে জীবন বাঁচিয়েছেন রণসঙ্গীদের।
মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে চির অমর আমাদের আদর্শিক অগ্রজ শহীদ নাজমুল আহসান।
দলনেতা হিসেবে বীরযোদ্ধা চির অমর শহীদ নাজমুল আহসানের আত্মত্যাগ শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি তথা দেশবাসীর জন্য নেতৃত্বের উদাহরণ, দলনেতাকে বাঁচাতে গিয়ে সহকর্মী হিসেবে জীবন দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন শহীদ আলী হোসেন ও শহীদ মোফাজ্জল হোসেন। শহীদ নাজমুল আহসানের সংগ্রাম ও ত্যাগের ইতিহাস বলে শেষ করার মতো নয়।
আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা নালিতাবাড়ীবাসী যেমনি ভাবে ইতিবাচক রাজনীতির মাইলফলক শহীদ নাজমুল আহসানের শূন্যতা মর্মে মর্মে অনুভব করি, ঠিক তেমনি ভাবে অনাগত আগামী প্রজন্মের রাজনৈতিক শুণ্যতা পূরণে মেধাবী, সৎ ও দক্ষ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষে দেশপ্রেমিক শহীদ নাজমুল আহসানের নেতৃত্বকে অনুসরণ করে নালিতাবাড়ী উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ ও বিশেষ করে ছাত্র, যুবকদের ঐক্যবদ্ধ পথচলার আহবান জানাই। আসুন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই অপরাজনীতির শৃঙ্খল ভেঙে, নেতিবাচক রাজনীতি রুখে দিয়ে, ইতিবাচক রাজনীতির মাইলফলক সৃষ্টির মাধ্যমে আলোকিত করবো সমাজ।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন, নিজে সুস্থ থাকুন, অপরকে সুস্থ থাকতে সহয়তা করুন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
লেখকঃ মোকছেদুর রহমান লেবু
চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, নালিতাবাড়ী, শেরপুর।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, নালিতাবাড়ী উপজেলা শাখা।
ও সাবেক ভিপি- নাজমুল স্মৃতি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদ (নামছাস)।