সাজ্জাদ হোসেন শাহিন ।।
শীতের শিশির ভেজা সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো মাঠজুড়ে চোখে পড়ে সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ। সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য পাল্টে দিয়েছে জামালপুরে মেলান্দহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ফসলের মাঠের দৃশ্যপট। গত ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার মেলান্দহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গেলে এমনি চিত্র দেখা যায়।
উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় এ মৌসুমে ব্যাপক সরিষার চাষ করা হয়েছে। সরিষার সবুজ গাছের ফুলগুলো শীতের সোনাঝরা রোদে যেন ঝিকিমিকি করছে। এ যেন এক অপরুপ সৌন্দর্যের দৃশ্য। দেখে যেন মনে হচ্ছে প্রকৃতি কন্যা সেজেছে গায়ে হলুদ বরণ সেজে। মৌমাছির গুনগুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে পদার্পণ এ অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন মনোমুগ্ধকর এক মুহূর্ত।
সরেজমিনে মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরাপাড়া ইউনিয়নের কৃষক চাঁন মিয়া সাথে আলাপকালে জানা যায়, সরিষা চাষে খরচ অনেক কম কিন্তু লাভটা বেশি হওয়ায় অনেকেই সরিষা চাষে আগ্রহী। ক্ষেতে একবার সার প্রয়োগ করলে আর সার দিতে করতে হয় না, তাই অন্য ফসল থেকে পরিশ্রম ও কম দিতে হয় সরিষা চাষে । তিনি আরও বলেন, সরিষাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকলে এখানকার কৃষকরা আরো বেশি উপকৃত হতো।
এ ব্যাপারে মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আহাম্মেদ জানান, এবারে মেলান্দহ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে বিগত বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে। যথা সময়ে জমি চাষ যোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সুযোগ বুঝে সরিষা চাষ করেছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে কোন প্রকার ক্ষতি না হলে মেলান্দহ উপজেলায় সরিষা আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। শুধু তাই নয় সরিষা চাষের জমিগুলো উর্ব্বরতা বেশি থাকায় কৃষকরা বোরো চাষেও এর সুফল পাবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.