ঢাকা April 19, 2024, 11:02 am
  1. Arts & EntertainmentCelebrities
  2. blog
  3. অন্যান্য
  4. অপরাধ
  5. আইন – আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আবহাওয়া
  8. উপ-সম্পাদকীয়
  9. কবিতা
  10. কৃষি
  11. কৃষি ও কৃষক
  12. কৌতুক
  13. খেলা ধূলা
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্কুলের মাঠ দখল মুক্ত করতে শেরপুরে দখলদার ভুমি দস্যুদের বিরোদ্ধে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

Admin
May 17, 2021 6:23 pm | 497 Views
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টারঃ শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মুনশীরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে সেখানে তার ছেলের নামে মার্কেট নির্মান করার অভিযোগে স্কুলের প্রক্তন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে স্কুল প্রাঙ্গনে গত ১৫ই মে সকাল ১১ টা হতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এসময় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র প্রেসিডেন্ট স্কাউট ও স্থানীয় হোসাইন মারুফ ক্রীড়াচক্রের সভাপতি হোসাইন মারুফের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র উপস্থিত হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, মুনশীর চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সলে এবং নিজস্ব জমির পরিমান ৫০ শতক, জমিদাতা মরহুম সৈয়দ আলী সরকার যার দলিল করন করা হয় তারিখঃ-২৯/০১/১৯৫৫ ইং, নম্বর-১০০৭ এবং দাগ নম্বর – পি,এস/ আর ও আর ১১১১/১১১২/৩৩৮৭। দাগ নং- বি আর এস
১৩৬০/১৩৬১/৩৫২৯ অর্থাৎ জমির পরিমান দাগ অনুয়ায়ীঃ
১৩৬০ নং দাগ- ২৮ শতক
১৩৬১ নং দাগে -০৭ শতক
৩৫২৯ নং দাগে -১৫ শতক।
মোটঃ৫০ শতক
৩৫২৯ নং দাগের ১৫ শতক জায়গায় বর্তমানে উক্ত ইউনিউনের চেয়ারম্যান খোরশেদুজ্জামান মার্কেট নির্মান করেছে যা অত্যান্ত দুঃখজনক বলে দাবি স্থানীয়দের।
আরো অভিযোগ রয়েছে দলিলে উল্লেখিত সম্পত্তি (৫০শতক) যা বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা বিভাগ শেরপুর এর নামে রেকর্ড এবং লিপিবদ্ধ আছে। অথচ এই ৫০ শতক ছাড়াও বাজিত কামার নামক একজন সমাজ সেবক ১৭ শতক জমি মৌখিক ভাবে দান করেন ১৯৮৭ সালে এবং ১৯৮৮ সালে একটি টিন শেড বিল্ডিং নির্মান হয়, সে হিসেবে বিদ্যালয়ের জমি থাকার কথা ৬৭ শতাংশ কিন্তু বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকা কালিন খোরশেদুজ্জামান স্কুলের নামে লিখার কথা বলে নিরক্ষর জমিদাতার কাছ থেকে স্কুল ভবন সহ নিজের নামে লিখে নেন ২০০১ সালে। যার দাগ নং ১৪১৭ এবং ১৪১৮।


বক্তারা আরো বলেন, যখন কোন জমিতে বিনা বাধায় সরকারী অর্থায়নে স্কুল ভবন নির্মাণ হয়ে যায় তখন স্বয়ংক্রিয় ভাবেই সে জমির মালিক স্কুল কর্তৃপক্ষ হওয়ার কথা। বক্তারা অভিযোগ করেন, ভুমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাগন স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার আপন ভাই মুস্তাফিজুর রহমান এবং সভাপতি খোরশেদুজ্জামানের যোগসাজোসে ভুমি অফিস থেকে মাত্র ৩৫ শতক জমির খাজনার চাহিদা পত্র প্রেরণ করে থাকে এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ৩৫ শতক জমির খাজনা পরিশোধ করে থাকে। যেখানে ৬৭ শতক জমি থাকার কথা সেখানে একক ভাবে দেয়া সৈয়দ আলী সরকারের ৫০ শতকের মধ্যেও মাত্র ৩৫ শতকের খাজনা দেন শিক্ষা অফিস তাহলে খোরশেদ চেয়ারম্যান কিভাবে জমি দাতা হলেন?

এসময় হোসাইন মারুফ, খোরশেদুজ্জামানকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনি প্রমান দিন জমি আপনার যদি করতে পারেন তাহলে প্রকাশ্যে আপনার কাছে ক্ষমা চাইবো আর যদি করতে না পারেরন রাষ্ট্রের সম্পদ রাষ্ট্রকে বুঝিয়ে দিন। আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কবি লেখক সাহিত্য সংগঠক এবং অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আবু সাইম মোঃ সাঈদ (সাইম)।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি সদস্য শাজাহান আলী, সমাজ সেবক জাহিদুল, হোসাইন মারুফ ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক রুকনুজ্জামান মুসা, সমাজ সেবক শফিকুল ইসলাম, কামাল হোসেন, জুবরাজ মেম্বার প্রমুখ।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি খোরশেদুজ্জামান নিজের পৈত্রিক সম্পদ বলে দাবী করেন।