ঢাকা March 19, 2024, 9:37 am
  1. Arts & EntertainmentCelebrities
  2. blog
  3. অন্যান্য
  4. অপরাধ
  5. আইন – আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আবহাওয়া
  8. উপ-সম্পাদকীয়
  9. কবিতা
  10. কৃষি
  11. কৃষি ও কৃষক
  12. কৌতুক
  13. খেলা ধূলা
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জামালপুরের মেষ্টা ইউনিয়নে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, ধর্ষক চাচা গ্রেপ্তার

Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক \
জামালপুরে ভিক্ষুক পরিবারের এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মোঃ রেজাউল করিমকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রেজাউল করিম সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের পশ্চিম আড়ংহাটি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। গত ২৫ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে ই—মেইলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান জামালপুর ক্যাম্পের কমাণ্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।
তিনি জানান, ধর্ষিতা ওই নারী একজন হতদরিদ্র ঘরের ভিক্ষুকের সন্তান। তাঁর মা ও বাবা উভয়ে ভিক্ষা করে জীবিকা নিবার্হ করেন। ছোট ভাই জীবিকা নিবার্হের তাগিদে কৃষি কাজসহ মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। ঘটনার দিন (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পরিবারের সবাই জীবিকার তাগিদে নিজ নিজ কাজে বেরিয়ে পড়েন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে লম্পট চরিত্রহীন প্রতিবেশী চাচা আসামি রেজাউল কথা বলার অজুহাতে বাড়িতে ঢুকে প্রতিবন্ধী ওই নারীকে নিজ বসতঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর তিনি ঘটনাটি ভাবী এবং চাচীকে জানান। পিতা—মাতা বাড়িতে এলে তাঁর ভাবী ও চাচী এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা পিতা—মাতাকে জানান। ঘটনাটি জানাজানি হলে আসামিরা অসহায় দরিদ্র প্রতিবন্ধীর পরিবারকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে প্রতিবন্ধীর ভাই র‌্যাব—১৪, সিপিসি—১, জামালপুর ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া জামালপুর সদর থানায় ২১ ডিসেম্বর একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও জানান, ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পর থেকে র‌্যাব—১৪, সিপিসি—১, জামালপুর ক্যাম্প ঘটনাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে ২৫ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মেলান্দহের কাপাশহাটিয়া গ্রামে ভগ্নিপতি মোঃ মিস্টার আলির ঘর হতে আসামি রেজাউলকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ওই ঘটনার বিবৃত দেন এবং সত্যতা স্বীকার করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জামালপুর সদর থানার মামলা নং—৫৮/১০৭৭, তারিখ—২১/১২/২০২২ ইং, ধারা—২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০২০) এর ৯(১) মূলে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কোম্পানি কমাণ্ডার।