ঢাকা April 19, 2024, 8:50 am
  1. Arts & EntertainmentCelebrities
  2. blog
  3. অন্যান্য
  4. অপরাধ
  5. আইন – আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আবহাওয়া
  8. উপ-সম্পাদকীয়
  9. কবিতা
  10. কৃষি
  11. কৃষি ও কৃষক
  12. কৌতুক
  13. খেলা ধূলা
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জামালপুরে মরিচের বাম্পার ফলন

Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। মরিচ চাষে শুধু চাষিরাই লাভবান হননি, বেশি দাম পাওয়ায় লাভবান হয়েছেন কৃষক-দিনমজুর ও ব্যবসায়ীরাও। জামালপুর সদরে তুলশিরচর, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি, বকশিগঞ্জ উপজেলার যমুনা নদীর অববাহিকায় মুন্নিয়ারচর, সাপধরী, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া, দেওয়ানগঞ্জের কুলকান্দির চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ জমিতে করা হয়েছে মরিচের আবাদ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামালপুরের সাতটি উপজেলার চরাঞ্চলগুলোতে লাল-সবুজের রঙে ছেয়ে গেছে মরিচের খেত। কেউ মরিচ ক্ষেত পরিচর্যা করছেন, কেউ মরিচ তুলছেন কেউ মরিচ বাজারে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা খরিদদাররা মরিচ কিনে স্তূপ করে রাখছে দেশের বিভিন্ন জেলায় নেয়ার জন্য। বাজারে দাম ভালো থাকায় মরিচ চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন এ এলাকার অনেক মরিচ চাষি পরিবার। আবার যাদের জমি নেই, তারা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে মরিচ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ঢাকা থেকে মরিচ কিনতে আসা পাইকার মফিজুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে ৭৫ থেকে ৯০ হাজার টাকায় মরিচ খেত কিনে বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় করছেন। ইসলামপুর, মেলান্দহ, দেওয়ানগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, মেষ্টাবাজারেও প্রতি মণ মরিচ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় ক্রয় বিক্রি করছি। লাভও হচ্ছে ভালো।

নাওভাঙ্গাচরের মরিচ চাষিরা জানান, এ বছর সাত বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন তিনি। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা মরিচ ক্ষেত ৭৫ থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। ইসলামপুরের বেলগাছা ইউনিয়নের মুন্নিয়ার চরের নারী দিনমজুর অজুক বেওয়া, হাসিনা বেগম ও মর্জিনা বেগম মরিচ খেতে কাজ করেন। তারা জানান, এবার মরিচের আবাদ ভালো হওয়ায় মালিক দাম বেশি পাচ্ছে। আমরাও বাড়ির কাজ শেষে মরিচ ক্ষেতে কাজ করে সংসার চালাই। আমরা প্রতিজনে প্রতিদিন ৩৫০ টাকা করে মজুরি পাচ্ছি। চট্টগ্রাম থেকে আসা পাইকার জহির ব্যাপারী ও মদন দেব জানান, চলতি মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকায় ১৭ বিঘা মরিচ ক্ষেত কিনেছি। এখন পর্যন্ত ৯ লাখ কাটার মরিচ বিক্রি করছি। প্রতিদিনই ১৫ থেকে ২০ জন নারী শ্রমিক খেতে মরিচ তোলার কাজ করেন। প্রতি বিঘায় খরচ বাদে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় এবার জামালপুর জেলায় ৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জেলায় মরিচ চাষ করা হয়েছে ৮ হাজার ৬৪৭ হেক্টর জমিতে। গত কয়েক বছরের তুলনায় যা অনেক বেশি। মরিচের সম্ভাবনাময় বাম্পার ফলন জেলার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলছে।