ঢাকা March 29, 2024, 1:22 am
  1. Arts & EntertainmentCelebrities
  2. blog
  3. অন্যান্য
  4. অপরাধ
  5. আইন – আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আবহাওয়া
  8. উপ-সম্পাদকীয়
  9. কবিতা
  10. কৃষি
  11. কৃষি ও কৃষক
  12. কৌতুক
  13. খেলা ধূলা
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নন্দীগ্রামে বাজারজাত করতে না পেরে টমেটো নিয়ে বিপাকে রুহুল আমিন

admin
April 24, 2020 1:48 pm | 495 Views
Link Copied!

বগুড়ার নন্দীগ্রামে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে করোনার প্রভাবে সমগ্র বগুড়া এখন লকডাউন। এমন অবস্থায় বাজারজাত করতে না পেরে ক্ষেতে উৎপাদিত ১শ থেকে দেড়শ মন টমেটো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক রুহুল আমিন। তার চাষ করা টমোটোগুলো বাজারজাত না করার কারনে টমেটো ক্ষেতেই পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, উপজেলার ভাটগ্রাম গ্রামের মো: আয়েত আলীর ছেলে কৃষক রুহুল আমিন ২বিঘা জমি পত্তনি নিয়ে তাতে সফল ও বিপুল জাতের ৪ হাজার ৫শ টমেটোর চারা রোপন করে। কৃষক রুহুল আমিন জানান, প্রথমে তিনি টমেটোর বীজ কিনে বাড়িতেই চারা উৎপন্ন করেন। এরপর সেই চারা তিনি জমিতে রোপন করেন। প্রতি চারা খরচ হয়েছে ১০ টাকা। এছাড়াও সার ১৮ হাজার টাকা, শ্রমিক ১৫ হাজার টাকা, কীটনাশক ২৫ হাজার টাকা, জমির মুল্য ৩০ হাজার টাকা সহ আরো অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ২ বিঘা জমিতে তার প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এযাবৎ তিনি এক লক্ষ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পেরেছেন। এখনো পঞ্চাশ হাজার টাকা লোকশানে আছেন বলে তিনি জানান।

কৃষক রুহুল আমিন আরো জানান, করোনা ভাইরাস আসার আগে তিনি প্রতিদিন ২ বিঘা জমি থেকে ১০ মন করে টমোটো উঠতো যা বাজারে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। কিন্তু প্রায় ১৫ দিন তিনি জমি থেকে কোন টমেটো তুলতে পারেন নি। চলমান লকডাউনের কারনে যানবাহন তেমন চলছে না যার ফলে পাইকারও আসছে না। যার কারনে টমেটো পেকে ক্ষেতেই ঝড়ে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তার ২বিঘা জমিতে প্রায় দেড়শ মন টমেটো পঁচে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দু‘ এক দিনের মধ্যে যদি তিনি টমেটো গুলো বিক্রি করতে না পারেন তাহলে তার প্রায় লক্ষাধিক টাকা লোকশান হবে বলে তিনি জানান।

এবিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার বলেন, কৃষক রুহুল আমিন কে কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । যার কারনে ফসল অনেক ভালো হয়েছে। টমোটো গুলো সঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারলে কিছুটা লাভ হতো। তাকে টমোটোগুলো তারাতারি বাজারজাত করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।