ঢাকা March 29, 2024, 4:44 pm
  1. Arts & EntertainmentCelebrities
  2. blog
  3. অন্যান্য
  4. অপরাধ
  5. আইন – আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আবহাওয়া
  8. উপ-সম্পাদকীয়
  9. কবিতা
  10. কৃষি
  11. কৃষি ও কৃষক
  12. কৌতুক
  13. খেলা ধূলা
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শরীয়তপুরে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার আশ্রায়ন ঘরের ধ্বস

Admin
July 9, 2021 5:52 am | 382 Views
Link Copied!

শেরপুর টুডে ডেস্ক: শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। এই আশ্রায়ন ঘরের বয়স ছয়মাসও হয়নি এখনি পিলার ফেটে ধ্বসে পড়ে যাবে মনে হচ্ছে। ঘরগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইদিলপুর ইউনিয়নের মহিষখালী মৌজায় ২১টি পরিবারের জন্য নির্মিত অধিকাংশ ঘরেরই মেঝে, দেয়াল ও পিলারে দেখা দিয়েছে ফাটল।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পর ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে উপকার ভোগীদের মাঝে। কিন্তু ঘরের এ কি অবস্থা? প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বর্ষা মৌসুম শেষে ঘরগুলো মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আশ্রয়ণের বাসিন্দারা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প (আশ্রয়ণ প্রকল্প- ২) এর তালিকার গৃহহীন ভূমিহীন অসহায় পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গেল অর্থ বছরে ইদিলপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি মৌজায় ৬৭ শতাংশ জমির উপর ২১ জন ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারের জন্য সেমি-পাকা ঘর তৈরি করা হয়। প্রতিটি ঘর তৈরিতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। গেল অর্থ বছরের ১ম পর্যায়ে নির্মিত এসব ঘর গত ২৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে উপকার ভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়।

সেমি-পাকা দুই কক্ষ বিশিষ্ট এসব ঘরে সংযুক্ত একটি রান্নাঘর ও টয়লেট রয়েছে। ছয় মাস না হতেই ঘর গুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি হলে চাল দিয়ে পানি পরছে। ঘর তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে গৃহহীন বাসিন্দারা।

গোসাইরহাট উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হুসাইন। কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার চৌধুরী।

উপকার ভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ঘর দেওয়ায় আমরা খুবই খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ঘরে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে লোভী দূর্নিতিবাজ ঠিকাদাররা। বৃষ্টি নামলেই ঘর দিয়ে পানি পরে। চালের কাঠগুলো ভালো না। স্ক্রু ঢিলে হয়ে পানি পরছে সারা ঘরে। এই কয়দিনেই ফ্লোর ও পিলার ফেটে গেছে। কয়দিন টিকে জানিনা।

আশ্রয়ণের বাসিন্দা শিরিনা আক্তার ও ফাতেমা আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘর দিছে আমরা অনেক খুশি হইছি। এখন সামনের তিনটা পিলারই ফেটে গেছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

আশ্রয়ণের বাসিন্দা সৈয়দন নেসা সাংবাদিকদের বলেন, ঘরের মেঝে ও বারান্দার মেঝে ফাটল ধরেছে। আপনারা দেখেন সবগুলা ঘরের একই অবস্থা। কোন কোন ঘরের পিলারও ফেঁটে গেছে। এ নিয়ে এখন আমরা দুঃশ্চিন্তায় আছি।

আশ্রয়ণের বাসিন্দা লুৎফা বেগম বলেন, আমাদের রান্না ঘর ও টয়লেট ভেঙ্গে আছে, থাকার মত কোন অবস্থা নাই আমাদের এই ঘরে। চেয়ারম্যান সাহেব ও পিআইও ম্যাডাম এসে আমাকে অন্য ঘরে থাকতে দিয়ে গেছে। পরে আমার ঘর মেরামত করে দিবে বলেছে। এই ঘরে সিমেন্ট কম দিছে। নাহয় এভাবে বিল্ডিং ফাটতে পারে না। কয়দিন হইছে আমরা আসছি এখনই এই অবস্থা। এই ঘরে কিভাবে থাকমু।

গোসাইরহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার চৌধুরী বিষয়টাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উল্লেখ করে বলেন, ওই জায়গাটা সিলেকশন ভুল ছিল। এবার অতিবর্ষণের কারণে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপরও আশ্রয়ণটি টিকিয়ে রাখতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। বর্ষা মৌসুম শেষে সমস্যা গুলো সমাধান করে দেয় হবে।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তানভির আল নাসিফ বলেন, আমি সম্প্রতি ওই উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করিতেছি। তাই বিষয়টি জেনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব এবং প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।