শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নের সফল জনতার চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম খান সোহেল মাদারগঞ্জে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু  ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত প্রচারে ব্যস্ত আ.লীগের প্রার্থীরা কৌশলী অবস্থানে বিএনপি মাদারগঞ্জ পৌরসভার নব নির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন মির্জা আজম এমপি  মাদারগঞ্জ ঝাড়কাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ মাদারগঞ্জে শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মেষ্টার চান্দের হাওড়া এলাকার রাস্তা নয়, যেন মরণ ফাঁদ! চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আন্ত:বিভাগ ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল খেলায় ইংরেজি বিভাগ কে ১—০ গোলে হারিয়ে আইন বিভাগ চ্যাম্পিয়ন মাদারগঞ্জে ভূমি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলেন  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইলিশায় রিছিল

রঙিন ফুলকপি চাষ করে জীবন রাঙাতে চায় ঝিনাইগাতীর শফিকুল 

আমিরুল ইসলাম, শেরপুর প্রতিনিধি : 
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম। তিনি সারাবছরই তার জমিতে নানান ধরনের সবজি চাষাবাদ করে থাকেন। তবে এবার তিনি স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে রঙিন ফুলকপি চাষ করে বাম্পার ফলন ফলিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। শফিকুল তার অল্প জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগ করে চার রঙের ফুলকপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছেন। তার এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও।
আর রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে শফিকুলের ক্ষেতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয় কৃষকসহ উৎসুক জনতা। কেউ নিচ্ছেন পরামর্শ আবার কেউ তুলছেন ছবি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষক শফিকুল কৃষি অফিসের পরামর্শে তার নিজস্ব ১৫ শতক জমিতে চার রঙের ফুলকপির বীজ বপন করেন। এতে তিনি কোন প্রকার রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈবসার ব্যবহার করছেন। এতে চারাসহ সব মিলে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। চারা রোপনের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর ক্ষেতে আসে রঙ্গিন ফুলকপি।
সবজি চাষি শফিকুল জানান, রঙিন ফুলকপি বিক্রি শুরু করেছেন। তিনি আশা করছেন, পুষ্টিগুণে ভরপুর এই রঙ্গিন ফুলকপিগুলো ১লাখ ৩০হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, মজার ব্যাপার হলো রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভীড় করছেন। কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ আবার কেউ কেউ তুলছেন ছবি। তাছাড়া বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায় এসব রঙিন কপি।
একই গ্রামের কৃষক জামিল, ছাত্তার, করিম জানান, আমাদের এলাকায় শফিকুলের আগে অন্য কেহ রঙিন ফুলকপির চাষ করে নাই। আমিও ফুলকপিগুলো এর আগে দেখেছি। তবে এখানে খুব ভালো ফলন হয়েছে। এসব কপি আবাদে খরচ কম এবং বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। আগামীতে আমরাও আমাদের জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ করবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, কৃষক শফিকুল ইসলাম শাকসবজি চাষে খুবই আগ্রহী। তিনি প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।  ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। বিশেষ করে ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ই, কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ করে। জেলা কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ বলেন, সাধারণ কপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির চাহিদা বাজারে বেশি। উৎপাদন খরচও তুলনামূলক খুব একটা বেশি না। কৃষকদের সকল পরামর্শ দিতে জেলা কৃষি বিভাগ সব সময় পাশে আছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply




© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY SheraWeb.Com