ঢাকা April 26, 2024, 7:37 am
  1. Arts & EntertainmentCelebrities
  2. blog
  3. অন্যান্য
  4. অপরাধ
  5. আইন – আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আবহাওয়া
  8. উপ-সম্পাদকীয়
  9. কবিতা
  10. কৃষি
  11. কৃষি ও কৃষক
  12. কৌতুক
  13. খেলা ধূলা
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জামালপুরে স্থানীয় বিড়ি কোম্পানীগুলোর ব্যান্ডরোল কারসাজি বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
জামালপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ জামালপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে পুরাতন ও নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে এবং ব্যান্ডরোল বিহীন কারসাজিতে লিপ্ত একটি অসাধুচক্র। তারা কোনরকম বাধাবিঘœহীন পরিবেশে এসব বিড়ি বাজারজাত করছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এসব বিড়ির প্যাকেটে পুরাতন ও নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার এবং ব্যান্ডরোল বিহীন বাজারজাত করা হলেও রহস্যজনক কারনে নিরব রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পুরাতন ও নকল ব্যান্ডরোল এবং ব্যান্ডরোলবিহীন বিড়ি বাজারজাত করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় অসাধু বিড়ির মালিকরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া, মেষ্টা, তিতপল্লা, শাহবাজপুর, দিগপাইত, তুলসীপুর, রশিদপুর ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারগুলোতে বিক্রী করা বেশিরভাগ বিড়ির প্যাকেটে লাগানো ব্যান্ডরোল পুরাতন, নকল এবং ব্যান্ডরোলবিহীন। প্রতিটি ব্যান্ডরোলের সরকার নির্ধারিত মূল্য ৮ টাকা ১০ পয়সা। এর সাথে সরকারি অন্যান্য ফিসহ প্রায় ৯টাকা প্রতিটি ব্যান্ডরোলের মূল্য পড়ে। এক প্যাকেট বিড়ি উৎপাদন এবং বাজারে পৌঁছানো পর্যন্ত উৎপাদন খরচ হবার কথা অন্তত ১৫ টাকা। কিন্তু নকল বা জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করায় ২৫ শলাকার এক প্যাকেট বিড়ি খুচরা বাজারে বিক্রী করা হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। প্যাকেটের গায়ে ১৮ টাকা মূল্য নির্ধারিত থাকলেও ১০ টাকায় বিড়ি বিক্রি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের পাবই বাজার এলাকার আনোয়র হোসেন- “নবাব বিড়ি” নিবন্ধন সংখ্যা – ০০১৯০৩৫৮৬-০৪০৭, শরিফপুর রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় হারুন অর রশিদ- “আবুল বিড়ি” নিবন্ধন সংখ্যা-০০০৫৪০৫২৮-০৪০৭, মুকুল বাজার এলাকায় মোঃ আঃ ওয়াহাব- “আবাদ বিড়ি” নিবন্ধন সংখ্যা- ০০২২২২৭৩৩-০৪০৭, সরিষাবাড়ী উপজেলার বাউসী বাঙ্গালী এলাকার মোঃ আঃ ছামাদ- “সাঈদ বিড়ি” নিবন্ধন নং- ০০১৯০৪৩৭৮-০৪০৭, রাঙ্গামাটিয়া, শরিফপুর এলাকার মোঃ শেখ ফরিদ- “বুলেট বিড়ি” নিবন্ধন সংখ্যা- ২৮৩৮৭৯৪৯৫৩২০, শরিফপুর, রাঙ্গামাটিয়া এলাকার গোলাম নবী নকল “আজিজ বিড়ি” তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে। আর এসব পুরাতন ও নকল ব্যান্ডরোল এবং ব্যান্ডরোল বিহীন বিড়ি এজেন্ট হচ্ছে জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের হাজীপুর বাজারের পাইকারি মনোহারি দোকানদার জামিনুর, হাসিল বটতলা মোড়ের দোকানদার জাহিদ, মেষ্টা চৌরাস্তা পানের দোকানদার ওয়াজেদ, মনোহারি দোকানদার জামিনুর, মোজাম্মেল, ফরিদ, জালিয়ারপাড় মোড়ের দোকানদার নজরুল ইসলাম, কালিবাড়ী বাজারের মনোহারি দোকানদার রাজন, জয়নগর বাজারের দোকানদার লতিফ, আনোয়ার, আনিস, ভাটারা বাজারের দোকানদার কিনা, সুপারী দোকানদার বাবুলসহ গাবতলী বাজার, নারিকেলী মোড়, মাধুরবাজার, গোদাশিমলা বাজার, পাবই বাজার, কামালখান হাট, তুলসীপুর বাজারসহ দক্ষিণ জামালপুরের বিভিন্ন বাজারে অবাধে বিক্রী হচ্ছে পুরাতন ও জাল ব্যান্ডরোল লাগানো এবং ব্যান্ডরোল বিহীন বিড়ি। এতে বিড়ি কোম্পানী ও দেখভাল করার দায়িত্বে থাকারা লাভবান হলেও সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার ও ব্যান্ডরোল বিহীন বিড়ি কমমূল্যে বাজারজাত করায় বাজারে টিকে থাকতে পারছেন না আসল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ি কোম্পানীর মালিকরা।
এদিকে জাল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ি ও ব্যান্ডরোলবিহীন বিড়ি বাজারজাত বন্ধ করাসহ এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া স্থানীয় বিড়ি কোম্পানীগুলোর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।