ঢাকা March 29, 2024, 1:37 am
  1. Arts & EntertainmentCelebrities
  2. blog
  3. অন্যান্য
  4. অপরাধ
  5. আইন – আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আবহাওয়া
  8. উপ-সম্পাদকীয়
  9. কবিতা
  10. কৃষি
  11. কৃষি ও কৃষক
  12. কৌতুক
  13. খেলা ধূলা
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সরকারি নীতিমালাকে উপেক্ষা করে ব্যান্ডরোলবিহীন ময়না বিড়ির মালিক কর্তৃক লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি

Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক \
সরকারি নীতিমালাকে উপেক্ষা করে ব্যান্ডরোলবিহীন ময়না বিড়ির মালিক কর্তৃক লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ জামালপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে পুরাতন ও নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে এবং ব্যান্ডরোল বিহীন ময়না বিড়ি বাজারজাত করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এসব বিড়ির প্যাকেটে পুরাতন ও নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার এবং ব্যান্ডরোলবিহীনভাবে বাজারজাত করা হলেও রহস্যজনক কারণে নিরব রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পুরাতন ও নকল ব্যান্ডরোল এবং ব্যান্ডরোলবিহীন ময়না বিড়ি বাজারজাত করে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রীতিমত আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠেছেন ময়না বিড়ির মালিক জামালপুর সদর উপজেলার ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নের নারিকেলী এলাকার গহেরপাড়া গ্রামের মোঃ ওবায়দুল্লাহ। প্রশাসনের দৃষ্টি ও অভিযান এড়াতে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সে তার বিড়ির ফ্যাক্টরীর অবস্থানও পরিবর্তন করে ফেলেছেন। বর্তমানে অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে তিতপল্লা ইউনিয়নের বালুআটা গ্রামের মৃত নবা আলীর ছেলে বাবলুর বাড়ি ভাড়া নিয়ে আর একই ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি এলাকার মৃত উমর আলীর পূত্র জুলহাসের বাড়ি ভাড়া বিয়ে সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং নারী ও শিশু শ্রমিক দিয়ে হাতে তৈরি করা হচ্ছে পুরাতন ও নকল ব্যান্ডরোল সর্বস্ব এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যান্ডরোলবিহীন ময়না বিড়ি।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া, মেষ্টা, তিতপল্লা, শাহবাজপুর, দিগপাইত, তুলসীপুর, রশিদপুর ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারগুলোতে বিক্রী করা বেশিরভাগ বিড়ির প্যাকেটে লাগানো ব্যান্ডরোল পুরাতন এবং নকল আবার বেশিরভাগই ব্যান্ডরোলবিহীন। প্রতিটি ব্যান্ডরোলের সরকার নির্ধারিত মূল্য ৮ টাকা ১০ পয়সা। এর সাথে সরকারি অন্যান্য ফিসহ প্রায় ৯টাকা প্রতিটি ব্যান্ডরোলের মূল্য পড়ে। সে হিসাবে এক প্যাকেট বিড়ি উৎপাদন এবং বাজারে পৌছানো পর্যন্ত উৎপাদন খরচ হবার কথা অন্তত ১৫ টাকা। কিন্তু নকল বা জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করার কারণে ২৫ শলাকার এক প্যাকেট ময়না বিড়ি খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ১০ টাকায়। প্যাকেটের গায়ে ১৮ টাকা মূল্য নির্ধারিত থাকলেও ১০ টাকায় বিড়ি বিক্রি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নের নারিকেলী গহেরপাড়া গ্রামের মোঃ ওবায়দুল্লাহ- “ময়না বিড়ি” নিবন্ধন সংখ্যা- ০০০৬১১৪৩৯-০৪০৭ তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে। আর এসব পুরাতন ও নকল ব্যান্ডরোল এবং ব্যান্ডরোলবিহীন বিড়ি এজেন্ট হচ্ছে জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের হাজীপুর বাজারের পাইকারি মনোহারি দোকানদার সুলতান, জামিনুর, হাসিল বটতলা মোড়ের দোকানদার জাহিদ, মেষ্টা চৌরাস্তা পানের দোকানদার ওয়াজেদ, মনোহারি দোকানদার জামিনুর, মোজাম্মেল, ফরিদ, জালিয়ারপাড় মোড়ের দোকানদার নজরুল ইসলাম, কালিবাড়ী বাজারের মনোহারি দোকানদার রাজন, ঠান্ডু, জয়নগর বাজারের দোকানদার লতিফ, আনোয়ার, আনিস, ভাটারা বাজারের দোকানদার কিনা, সুপারী দোকানদার বাবুলসহ গাবতলী বাজার, নারিকেলী মোড়, মাধুরবাজার, গোদাশিমলা বাজার, পাবই বাজার, কামালখান হাট, তুলসীপুর বাজারসহ দক্ষিণ জামালপুরের বিভিন্ন বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে পুরাতন ও জাল ব্যান্ডরোল লাগানো এবং ব্যান্ডরোল বিহীন ময়না বিড়ি। এতে ময়না বিড়ির মালিক ও সংশ্লিষ্টরা লাভবান হলেও সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার ও ব্যান্ডরোল বিহীন ময়না বিড়ি কমমূল্যে বাজারজাত করায় বাজারে টিকে থাকতে পারছেন না আসল ব্যান্ডরোল লাগানো অন্যান্য বিড়ি মালিকরা।
সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া জাল ব্যান্ডরোল লাগানো এবং ব্যান্ডরোলবিহীন ময়না বিড়ির উৎপাদন, বিপনন বন্ধ করে এর অসাধু মালিক ওবায়দুল্লাহ্র বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।