ঢাকা May 2, 2024, 4:12 am
  1. Arts & EntertainmentCelebrities
  2. blog
  3. অন্যান্য
  4. অপরাধ
  5. আইন – আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আবহাওয়া
  8. উপ-সম্পাদকীয়
  9. কবিতা
  10. কৃষি
  11. কৃষি ও কৃষক
  12. কৌতুক
  13. খেলা ধূলা
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নকলায় মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকিসহ উচ্ছেদের পায়তারা করার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন

Admin
October 2, 2021 1:58 pm | 368 Views
Link Copied!

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি: শেরপুরের নকলায় চা-পানসহ এক ছোট মুদির দোকানে হামলা, লুটপাটের মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকিসহ উচ্ছেদের পায়তারা করার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন আমিনুল ইসলাম নামে এক অসহায় লোক। আমিনুল ইসলাম উপজেলার বানেশ্বরদী গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে।

শনিবার দুপুরে নকলা শহরের মধ্যবাজারে আমিনুল ইসলাম তার পরিবার পরিজন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় আমিনুল ইসলামের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম, এক বছর বয়সী শিশু ও তার ছেলেসহ নকলা উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এলাকার একজন নিরীহ শান্ত প্রকৃতির কর্মজীবী মানুষ। পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করতে গিয়ে একটি চা-পানসহ মুদির দোকান চালাই। তবে দোকানটি অধিকাংশ সময় পরিবারের অন্যান্যরা পরিচালন করেন। অভাব অনটনের সংসারের খরচ চালাতে আমি বিভিন্ন মৌসুমে সুবিধা মতো বিভিন্ন পেশায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করে আয় রোজগার করি।

বিগত ২০০৮ সালে এলাকার কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক আমাদের উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে আমাকে বেধে রেখে আমার ওই দোকানে হামলা ও লুটপাট করে। ওই মামলায় তারা বেশ কয়েকজন জেল-হাজত খাটে। পরে জামিনে বেড়িয়ে এসে সন্ত্রাসী প্রকৃতির ওইসব লোকগুলো আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অবশেষে তাদের অত্যাচারে আমি আমার বৃদ্ধা মাকে আমার বিপর্যস্থ দোকানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে জীবন জীবিকার তাগিদে রাজধানী ঢাকাতে চলে যাই।

চলতি বছর আমার মা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পরে, আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। এরপর থেকেই সুবাধাবাদি কিছু অসাধু লোকের মদদে স্থানীয় রাসেল মিয়া গংরা আমাকে উচ্ছেদ করার পায়তারা শুরু করে। একপর্যায়ে ২০০৮ সালের মামলার আসামীদের লোকজনরা পূর্বের ন্যায় আবার আমার দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে এবং আমার স্ত্রী সুরাইয়া বেগম ও আমাকে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করে। অতপঃর আমরা নকলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে নকলা থানায় রাসেল মিয়া গংদের নামে একটি মামলা দায়ের করি, যার নং: ৭, তারিখ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রি.। আমার দায়ের করা এই মামলার কাউন্টারে তারাও আমার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক একটি মামলা দায়ের করে, যার নং: ১১, তারিখ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ খ্রি.। এখন, প্রতিপক্ষরা আমাকে মামলা তুলে নিতে জনসম্মুখে প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন প্রাণ নাশের ভয়ে দিনাতিপাত করতেছি। তাই আমি আপনাদের কলমের মাধ্যমে এর সুষ্ঠ প্রতিকার কামনা করছি।

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমি ২০০৮ সালে সাবকওলা মূলে দুই দলিলের মাধ্যমে, (দলিল নং: ২৫১০, তারিখ ৩০/৬/২০০৮ এবং দলিল নং: ৪০৬৯, তারিখ ১৮/৯/২০০৮ খ্রি.) সাড়ে সতেরো (১.৫০+১৬=১৭.৫০) শতাংশ জমি ক্রয় করে বসতবাড়ি করাসহ ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু জীবন জীবিকার তাগিদে আমি স্বপরিবারে ঢাকায় চলে যাওয়ার পরে জবর দখলকারীরা জনবলের জুরে আমার সাবকাওলা মূলে ক্রয়কৃত সাড়ে ১২ (১২.৫০) শতাংশ জমি জোরজবরদস্থি করে দখল করে রেখেছে। যা নিয়ে মোহাম্মদ আলী গংদের নামে ২০০৮ সালে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। ওই মামলায় তারা কয়েকজন জেল হাজত বাস করে জামিনে এসে আমাদের প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। ওই মামলাটি এখনো চলমান আছে। বৈধ কাগজ পত্রমূলে খুবদ্রুত মামলাটি আমার পক্ষে রায় হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে। এমতাবস্থায় মৃত মোহাম্মদ আলী গংদের স্বজনরা আমাকে উচ্ছেদ করতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দামকি দেওয়াসহ আমার পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা করে আসেছ। পায়তারার অংশ হিসেবে গত ৭ সেপ্টেম্বর, রোজ মঙ্গলবার রাতে আমার দোকানে ও আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে লুটপাট করাসহ আমাকে ও আমার স্ত্রী সুরাইয়া বেগমকে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আমরা নকলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে নকলা থানায় কাইল্যা মিয়া গংদের নামে একটি মামলা দায়ের করি, যার নং: ৭, তারিখ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রি.। মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদন আপনাদের কাছে দেওয়া হয়েছে তাতে সুস্পষ্ট ১৪৩, ৪৪৭, ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৪২৭, ৫০৬(২) ধারা উল্লেখ করেছেন পুলিশ। আপনাদের বস্তুনিষ্ঠ লেখনির মাধ্যমে আমি সুষ্ঠু বিচার পাব, ইনশাআল্লাহ। আপনাদের কাছে বিনীত আবেদন, আপনারা আমার বিষয়টি নিজ নিজ সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করে সুষ্ঠ বিচার পেতে মানবিক সহায়তা করবেন বলে আশা করছি।

উল্লেখ্য,জমি জবর দখল করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করাসহ দোকানে হামলা, লুটপাটের মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকিসহ উচ্ছেদের পায়তারা করার জড়িতদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার কামনা করছেন এলাকাবাসী।