ঢাকা April 30, 2024, 11:17 am
  1. Arts & EntertainmentCelebrities
  2. blog
  3. অন্যান্য
  4. অপরাধ
  5. আইন – আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আবহাওয়া
  8. উপ-সম্পাদকীয়
  9. কবিতা
  10. কৃষি
  11. কৃষি ও কৃষক
  12. কৌতুক
  13. খেলা ধূলা
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করোনা ভাইরাসের প্রভাব : সাপাহারে আসছে মৌসুমে আম বাজারজাত করা নিয়ে চাষীরা হতাশ

admin
April 24, 2020 8:07 am | 496 Views
Link Copied!

আমের রাজধানী নামে খ্যাত নওগাঁর সাপাহারে বাগানে বাগানে গাছগুলোতে আমের দোল খেতে দেখা যাচ্ছে। অনুক‚ল আবহাওয়া থাকলে এবারেও গত বছরের ন্যায় আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে আম বাজারজাত করা নিয়ে হতাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন এলাকার আমচাষীরা।

জানা গেছে, প্রতিবছর সাপাহারের আম শুধু মাত্র আমাদের দেশ’ই নয় বরং বিশ্বের বেশ কিছু দেশে রপ্তানি হয়। এছাড়াও এই উপজেলাতে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে ব্যাপারীগন এসে আমের বাগান ক্রয় করেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আমের ব্যাপারীগন আড়তের মাধ্যমে আম ক্রয় করে দেশ-বিদেশে রপ্তানী করে থাকেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসের কারনে বিশ্বের সব দেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে শুধু তাই নয় নওগাঁ জেলা লকডাউন থাকার ফলে এলাকায় আসতে পারছেননা কোন ব্যাপারী। যার ফলে আমের বাজারজাত করা নিয়ে উৎকন্ঠায় রয়েছেন এলাকার আমচাষীগন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৬ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিলো। প্রতি হেক্টর জমিতে আমের ফলন হয়েছিলো ১৫ মেট্রিক টন। যার ফলে লাভবান হয়েছিলো এলাকার আমচাষীরা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৮ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমগাছ লাগানো হয়েছে। যাতে করে এ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ১শ’ ৫০ হেক্টর জমি। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বাগানের আমগাছ গুলোতে ব্যাপক পরিমাণ আম দেখা যাচ্ছে। এই মুহুর্তে আম যাতে ঝরে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রেখে এবং অধিক ফলনের লক্ষ্যে বাগানের গাছ গুলোতে বিভিন্ন বালাইনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

গতবছরের ন্যায় চলতি বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ফলন প্রতি হেক্টরে আবারো ১৫ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে উপজেলার সাংবাদিক তছলিম উদ্দীন পিছলডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন, মাহাবুর, জবই গ্রামের শাহজাহান আলী, মহজিদ পাড়ার তরুন সহ একাধিক আমচাষীর সাথে কথা হলে তারা জানান, আগামীর সম্ভাবনায় স্বপ্ন নিয়ে বাগান পরিচর্যার করে আম রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরেও আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার আমচাষীরা। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের স্থিতিকাল যদি বেড়ে যায় তাহলে বাজারজাত করা নিয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়তে হবে বলে জানিয়েন এলাকার অধিকাংশ আমচাষী। বর্তমানে বাগানে বাগানে প্রতিটি আমের সাইজ ৫০ থেকে ৬০গ্রাম হয়েছে, পরিপক্ক আম হতে আরোও বেশ কিছু দিন লেগে যাবে। সৃষ্টিকর্তা মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে পৃথিবীবাসীদের মুক্তি দিলে আবারো সাপাহারে আমের উৎপাদনে দেশে বিপ্লব ঘটবে। তবে ভবিষ্যতে কি হবে সে চিন্তায় এখানকার আমচাষীরা এখন অনেকটাই হতাশাগ্রস্থ্য হয়ে পড়েছে।